1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুমো কুস্তির চরম দুর্দিন

৩০ নভেম্বর ২০১২

এক সময় খেলাটা এত জনপ্রিয় ছিল যে তারকা হবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন মাইনোউমি৷ সুমো কুস্তির বড় তারকা হয়েছিলেনও তিনি৷ কিন্তু এখন তিনি হতাশ৷ হবেনই তো, জাপানে যে সুমো কুস্তি প্রায় মরতে বসেছে!

https://p.dw.com/p/16tAL
ছবি: Getty Images

থলথলে আর বিশাল শরীরের দুটো মানুষ একে অন্যকে ফেলার জন্য লড়ছে৷ যিনি ফেলতে পারবেন তিনিই বীরদেরও বীর, তিনিই সেরা৷ পুরো জাপান তাঁকে এক রকম মাথায় তুলে নাচবে৷ কী দিন ছিল সুমো কুস্তির, সুমো কুস্তিগীররাই তখন দেশের সেরা সুপারস্টার৷ মাইনোউমির তো জীবনের একমাত্র লক্ষ্য সুমো কুস্তিগীর হওয়া৷

সেটা আশির দশকের কথা৷ এমনিতে মাইনোউমির স্বাস্থ্য বেশ ভালো৷ কুস্তিগীর হতেই পারেন৷ কিন্তু উচ্চতা একটু কম হওয়ায় পড়ে গেলেন সমস্যায়৷ তো সব সমস্যারই তো কোনো না কোনো সমাধান আছে৷ মাইনোউমিও খুঁজে বের করলেন উপায়৷ ডাক্তারকে গিয়ে বললেন উচ্চতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করে দিতে৷ যে কথা সে-ই কাজ৷ প্রথমে মৃদু আপত্তি করলেও মাইনোউমির জোরাজুরিতে তাঁর মাথায় সিলিকন ইনজেকশন দিয়ে দিলেন ডাক্তার৷ লম্বা হয়ে গেলেন মাইনোউমি৷ বাকিটা ইতিহাস৷ নিজের শরীরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বড় কুস্তিগীরদের হারিয়ে হারিয়ে মাইনোউমি এমন জনপ্রিয় হয়েছিলেন যে জাপানের মানুষ এখনো তাঁকে স্মরণ করে৷ করলে কী হবে, মাইনোউমির এখন মন ভালো নেই৷ জাপানে এখন আর কেউ আগের মতো সুমো কুস্তিগীর হতে চায়না এটা দেখে তিনি খুবই হতাশ৷

সুমো কুস্তির একসময়ের সুপারস্টার মাইনোউমির মতো এইজি তাকাশেও হতাশ৷ তাকাশে জাপানের সুমো কুস্তি বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘সুমো'-র সম্পাদক৷ এখন খোদ জাপানে সুমোর যে দুরবস্থা তা তাঁরও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে৷ গত মাসে সুমো কুস্তিগীর হবার পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে মাত্র একজন৷ এ বছর সারা দেশে এমন আগ্রহীর সংখ্যা মাত্র ৫৬৷ অথচ ঠিক ৩০ বছর আগে, সুমোর জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে, তখন জাপানে সুমো-তারকা হতে চেয়েছিলেন ২২৩ জন!

কিন্তু দেশের ঐতিহ্যবাহী, জনপ্রিয় একটি খেলার এমন দুর্দশা কেন? কেন এখন সুমো কুস্তির গ্যালারি প্রায় ফাঁকা থাকে? তরুণরা কেন আসতে চাইছেনা এ খেলায়? টিভি চ্যানেলগুলোও কেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে? কারণ অবশ্য আছে অনেক৷ সুমো কুস্তিতে এখন আর দেশের বড় কোনো তারকা নেই, এ খেলায় ড্রাগ কেলেঙ্কারি ঢুকেছে, অনেক খেলোয়াড় সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে জড়িয়েছেন – এ সবকে বড় কারণ মনে করছেন অনেকে৷ অনেকে আবার দুষছেন বেসবল আর ফুটবলকে৷ এই খেলাদুটোর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়াতেই নাকি সুমোর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে জাপানের তরুণরা৷

এসিবি/এসবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য