জাদুঘর: শিশুরা যেখানে খেলে আর শেখে
অস্ট্রেলিয়ায় উদ্বোধন হয়েছে শিশুদের দারুণ এক জাদুঘর৷ শিশুরা সেখানে যাবে, মজার মজার জিনিস দেখবে, বড়দের মতো কাজ করবে, খেলবে আর শিখবে – এই হচ্ছে জাদুঘর নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য৷ খুব সাড়া জাগিয়েছে জাদুঘরটি৷
খেলো, করো, শেখো...
সিডনির ইউনিভার্সিটি অফ ওলংগং-এর ভেতরে ৩০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এই জাদুঘর৷ আর্লি স্টার্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর ভাবনার ফসল এই জাদুঘরে শিশুরা মন মতো খেলতে পারে, কাজও করতে পারে৷ খেলতে খেলতে, কাজ করতে করতেই শিখে নেয় অনেক কিছু৷ ছবির এই দুই শিশু খেলাচ্ছলেই ঘর বানাতে শিখছে৷
জলদস্যুর জাহাজ
সিডনির এই জাদুঘর শুধু ১ থেকে সর্বোচ্চ ১২ বছরের শিশুদের জন্য৷ শিশুদের সঙ্গে তাদের বাবা-মা-ও আসতে পারেন৷ জাদুঘরে ঢোকার মুখেই রয়েছে একটি জলদস্যুদের জাহাজ৷ সেই জাহাজে গিয়েও শিশুরা খেলতে খেলতেই শেখে৷ পুঁচকেরা হামাগুড়ি দিতে দিতেই এক সময় হাঁটতে শেখে, যারা হাঁটতে জানে, কথা বলতে পারে তারা সেই জাহাজে ঘুরে ঘুরেই নেয় সাহিত্য, সংস্কৃতির সহজ পাঠ৷
বিশ্বের প্রথম...
কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শিশুদের জন্য বিশ্বের প্রথম জাদুঘর এটি৷ সেখানে খেলাচ্ছলে প্রত্নতত্ত্বের মতো কঠিন বিষয়ের সঙ্গেও পরিচিত হয় শিশুরা৷ প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতো কাজ করার জন্য বিশেষ কিছু স্থানও সেখানে তৈরি করা হয়েছে৷ স্থানগুলোর কিছু অংশ পাথুরে, কিছু অংশ আবার গর্তে ভরা৷ মাটি খনন করার সরঞ্জামও আছে শিশুদের এই জাদুঘরে৷
জীবন্ত যন্ত্র
অদ্ভুত আর বিশাল এক যন্ত্রের হা করা মুখের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে খেলছে দু’টি শিশু৷ যন্ত্রটি জীবন্ত প্রাণীর মতো৷ প্রাণী যেমন শ্বাস নিয়ে শ্বাস ছাড়ে, এই যন্ত্রও সেভাবে বাতাস বের করে মুখ দিয়ে৷
কেনাকাটা শেখা
জাদুঘরের এই অংশটির নাম ‘মার্কেট প্লেস’৷ এখানে শিশুরা কেনাকাটা সম্পর্কে ধারণা নেয়৷ বড় হয়ে এই কাজগুলো তো করতেই হবে, ভালো কাজ কম বয়সে শিখলে তো ক্ষতি নেই! ২০১৫ সালের মে মাসে উদ্বোধন হয়েছে সিডনির এই জাদুঘরটির৷ এ পর্যন্ত ১০ হাজার শিশু গিয়েছে সেখানে৷ অনেকের আবার দু-তিনবার গিয়েও সাধ মেটেনি৷