1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজআফ্রিকা

জাতীয় খাদ্য সংকট ঘোষণা চাদের

৮ জুন ২০২২

এই প্রথম আফ্রিকার কোনো দেশ সরকারিভাবে খাদ্য সংকট ঘোষণা করলো। বাকি দেশগুলির পরিস্থিতিও আশঙ্কাজনক।

https://p.dw.com/p/4COTp
চাদ
ছবি: Ton Koene/IMAGO

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আফ্রিকায় খাদ্য সংকট তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এবার সরকারিভাবে খাদ্য সংকট ঘোষণা করল চাদ। দেশের সরকার জানিয়েছে, ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য না আসার কারণেই এই সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্ব তাদের পাশে না দাঁড়ালে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ চেহারা নেবে বলে জানিয়েছে চাদের প্রশাসন।

কী পরিস্থিতি চাদের

ডিডাব্লিউ চাদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা জানিয়েছেন, সমস্ত খাবারের দামই প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এক লোফ মাংস কিনতে হচ্ছে আড়াই ডলারেরও বেশি দামে। একটি পরিবারের মাসে খাবারের পিছনে আগে খরচ হতো ৬০ হাজার ফ্রাঙ্ক। এখন তা ৯০ থেকে এক লাখ ফ্রাঙ্কে পৌঁছে গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।

সরকার জানিয়েছে, দেশের খাদ্যভাণ্ডার শেষ হতে বসেছে। একদিকে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আসছে না, অন্যদিকে আবহাওয়ার কারণে নিজেদের দেশেও এবছর ফসল কম হয়েছে। ফলে যে কোনোদিন সংকট আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

শহরের মধ্যবিত্তরা অনেক বেশি দামে জিনিস কিনছেন। গ্রামের অবস্থা আরো খারাপ। সেখানে খাবার পৌঁছাচ্ছেই না।শহরেও পরিবারগুলি খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

চাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে পরিস্থিতি ক্রমশ সংকটজনক হচ্ছে। নাইজার, মালি, সুদান-- সর্বত্রই পরিস্থিতি ভয়াবহ। শুধু খাদ্য সংকট নয়, যুদ্ধের কারণে রাশিয়া কীটনাশক পাঠানোও বন্ধ করে দিয়েছে। তার ফলেও চাষে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতি যদি চলতে থাকলে, তাহলে গোটা আফ্রিকা ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়বে। যার জের গিয়ে পড়বে ইউরোপ এবং এশিয়াতেও।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)