1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলী হামলায় নিহত অন্তত ৪০

ফাহমিদা সুলতানা৬ জানুয়ারি ২০০৯

গাজায় আগ্রাসনের পরিধি আরো বাড়িয়েছে ইসরায়েল৷ গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসও এখন ইসরায়েলী হামলার লক্ষ্যবস্তুর অন্তর্গত করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/GT9m
গাজায় ইসরায়েলী বিমান হামলায় বিদ্ধস্ত ভবনছবি: AP

গাজায় ইসরায়েলী হামলার একাদশতম দিবসে মঙ্গলবার ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করার পর গাজার উত্তরাঞ্চলের কাছে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়৷ সেই সময় প্রাণ হারায় অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনী৷ অন্যদিকে নিজেদেরই একটি ট্যাংকের গোলার আঘাতে ৩ জন ইসরায়েলী সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে৷ ইসরায়েল গাজায় স্থল হামলা শুরুর পর এই পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে৷

Reaktion Iran Gaza Angriff Israel
শান্তির এই আহ্বানে কর্ণপাত করছে না ইসরায়েলছবি: AP

আরেকজন ইসরায়েলী সৈন্য লড়াইয়ের সময় প্রাণ হারায় গাজা উপত্যকার উত্তরে, ইসরায়েলী সামরিক কর্মকর্তারা এই খবর দিয়েছেন৷ তবে স্থল হামলা শুরুর পর ১৩০ জন শুধু হামাস যোদ্ধাই নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবী করছে৷ এই নিয়ে ১১ দিনের ইসরায়েলী আগ্রাসনে প্রায় ৬শ জন ফিলিস্তিনী প্রাণ হারালেন৷ জাতিসংঘ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার জাতিসংঘের একটি স্কুলে ইসরায়েলী বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে৷ অন্যান্যরা প্রাণ হারায়, গাজার উত্তরে গাজা উপকূল, গাজা সিটি এবং জাবালিয়া শরনার্থী শিবিরে৷ গাজার কেন্দ্রস্থলে দায়ির আল বালাহ এবং বুরেজ শরণার্থী শিবিরে সারারাত হামলা চালানোর পরপরই ইসরায়েলী বাহিনী খান ইউনিসের দিকে সরে যায়৷

এদিকে হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ বলেছে, তাদের যোদ্ধারা গাজা সিটিতে, মেশিনগান এবং রকেট নিয়ে ইসরায়েলী সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে৷ প্রচন্ড বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে বলে গাজা সিটির অধিবাসীরা জানিয়েছেন৷ তবে গাজার অভ্যন্তরে আসলে কি হচ্ছে তা সঠিকভাবে পুরোপুরি জানা যাচ্ছে না৷ কারণ ইসরায়েল গাজায় বিদেশী সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে৷

এদিকে ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মঙ্গলবারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন৷ এই বৈঠকে আরো যোগ দিচ্ছেন, সৌদীআরব, মিশর ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷ গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যে নিরাপত্তা পরিষদের ওপর চাপ দেয়াই এই বৈঠকের লক্ষ্য৷

অন্যদিকে ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্য সফরে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে রয়েছেন৷

তবে ইসরায়েলী কর্মকর্তারা প্রথম থেকেই যুদ্ধবিরতির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসছে৷ ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যে কোন যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলে রকেট হামলার জন্যে হামাসকে নতুনভাবে প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে৷ হামাস বলছে, গাজায় ইসরায়েলী হামলা বন্ধ করতে হবে এবং গাজা ক্রসিং পুরোপুরি খুলে দিতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান