1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভারতে ক্লিনটনের দেন-দরবার

১৯ জুলাই ২০০৯

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ভারত এবং আমেরিকা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে একটি সফল পরিকল্পনা হাতে নেবে৷ এই পরিকল্পনার ফলে নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷

https://p.dw.com/p/Ishb
নতুনদিল্লিতে ক্লিনটন ও রামেশছবি: AP

এছাড়া তিনি বলেন, ওয়াশিংটন নতুনদিল্লির উপর এমন কোন শর্ত আরোপ করবে না যা ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে৷

ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে হিলারি ক্লিনটন সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জনে একটি সমন্বিত ও কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি তাঁর এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত এমন একটি পরিকল্পনা হাতে নিতে পারে যার মাধ্যমে আমাদের জ্বালানি উৎপাদন, ব্যবহার এবং সংরক্ষণের পন্থা নাটকীয়ভাবে পাল্টে যেতে পারে৷ ভারতের পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রামেশ এবং অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর ক্লিনটন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷ তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আমাদের লক্ষ্য৷

তবে ভারতের পক্ষে মন্ত্রী রামেশ বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, কার্বন নির্গমন হ্রাসের ক্ষেত্রে কোন আইনগত বিধি-নিষেধে সম্মত হবে না ভারত৷ তবে অব্যাহত গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের প্রেক্ষিতে যথাযথ দায়িত্বের ব্যাপারে ভারত উদাসীন নয়৷ রামেশ বলেন, আমি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এ ব্যাপারে একমত যে, আমাদের ভিন্নতার দূরত্বকে কমিয়ে আনা সম্ভব৷ তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে এমন একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব যা সবার জন্য একটি সাধারণ কিন্তু ভিন্ন মাত্রার দায়িত্ব আরোপ করে৷

Hillary Clinton ernennt Klimabeauftragten Todd Stern
জলবায়ু বিষয়ক দেন-দরবারে ক্লিনটনের সাথে টড স্টার্ন (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance / dpa

এই সফরে ক্লিনটনের সাথে রয়েছেন আমেরিকার জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত টড স্টার্ন৷ তাঁরা সোমবার আবারও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন৷ এছাড়া ক্লিনটন সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সাথেও বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷

প্রসঙ্গত, এই বছরের শেষে কোপেনহেগেন-এ অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী ওয়াশিংটন৷ এই নতুন চুক্তি মূলত কিয়োটো প্রোটোকলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা রয়েছে৷ কেননা কিয়োটো প্রোটোকলের মেয়াদ ২০১২ সালে শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ অথচ কার্বন নির্গমনের ক্ষেত্রে সামনের সারিতে থাকা উন্নত দেশগুলোর সাথে ভারত এবং চীনের এখনও এই চুক্তির ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়ে গেছে৷

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো থেকে ভারতে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির পথ সুগম করার ব্যাপারেও আশাবাদী হিলারি ক্লিনটন৷ অস্ত্র চুক্তি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ক্লিনটন বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি চুক্তি চূড়ান্ত করা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছি৷ এগুলো চূড়ান্ত করা এবং তা জানিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী৷

যুক্তরাষ্ট্রের আইনের আওতায় এ ধরণের চুক্তি ভারতে অস্ত্র বিক্রির জন্য প্রয়োজন৷ ভারত মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ১২৬ মাল্টি-রোল ফাইটার কেনার পরিকল্পনা করেছে৷ ১০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তি বিশ্বে অন্যতম বড় ধরণের অস্ত্র চুক্তি৷ তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কর্পোরেশন এবং বোয়িং কোম্পানির জন্যও এটি লাভজনক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে৷ আগামী ৫ বছরে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে ৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনার আওতায় ভারত ওই অস্ত্রচুক্তি করতে যাচ্ছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা