1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বাংলাদেশের আশ্রয়ণ প্রকল্প

তৌফিকুল ইসলাম লিপু কক্সবাজার
২৩ জুলাই ২০২০

ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি হারানো বাংলাদেশের ছয়শ' পরিবার পেয়েছে নতুন ঠিকানা৷ সরকার থেকে তাদের দেয়া হয়েছে একটি করে ফ্ল্যাট৷ 

https://p.dw.com/p/3fp0P
Bangladesch I Flut in Bogra Sariakandi
ছবি: DW/M. Rashed

একসময় তাদের বাড়িঘর ছিল, মাথা গোঁজার ঠাই ছিল৷ কিন্তু ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছেন উদ্বাস্তুতে৷ এমন ভাগ্যহারাদের জন্য বাংলাদেশের কক্সবাজারে খুরুশকুলে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে৷ এর অংশ হিসেবে  প্রাথমিকভাবে ৬০০ পরিবার তাদের ফ্ল্যাট বুঝে পাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন৷

তিনি বলেন, ‘‘খুরুশকুলে আলাদা একটি সুন্দর শহর গড়ে উঠবে৷ আপনারা এতদিন যেভাবে ছিলেন কষ্টের মধ্যে, আমি নিজে গিয়েছি, আমি দেখেছি সেই জায়গা, কাজেই আপনারা এখানে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারবেন৷ আপনাদের ছেলেমেয়েরাও ভালোভাবে বড় হবে, মানুষের মতো মানুষ হবে, সেটাই আমরা চাই৷’’

কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প

প্রকল্পটি কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে৷ মোট ২৫৩ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা প্রকল্পটিকে ভাগ করা হয়েছে ৪টি জোনে৷ সেখানে চার হাজার ৪০৯টি পরিবার একটি করে ফ্ল্যাট পাবে৷ পাশাপাশি থাকছে আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও৷ প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘চারটি জোনের মধ্যে পর্যটন জোন, শুঁটকি মহল, বাফার জোন৷ এর মধ্যে পর্যটন জোনটি বেসরকারি বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে পৃথক ডিপিপির মাধ্যমে৷ অত্যাধুনিক পর্যটন সুবিধা বলতে যা বোঝায়, এখানে সবই থাকবে৷ শুঁটকি মহলে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিক্রি, ইটিপি সুবিধা থাকবে, যাতে বর্জ্য নদীতে না যায়৷ এখানে যারা থাকবে, তারা নিজেরাও অর্থনৈতিকভাবে এবং পেশাগতভাবে নিশ্চিত থাকবেন যাতে জীবনকে তারা ভালো করতে পারেন৷’’
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর সহায়-সম্বলহারা মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন কক্সবাজারে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া ও নাজিরার টেক এলাকায়৷ কিন্তু কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার ফলে শেষ আশ্রয়টুকু  হারাতে বসেছিল তারা৷ পরবর্তীতে ১৮৩৯ কোটি টাকা ব্যায়ে এই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়, যেখানে মোট ১৩৯টি পাঁচ তলা ভবন নির্মাণের কথা রয়েছে৷ এরমধ্যে শেষ হয়েছে ২০টির নির্মাণ কাজ৷ স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল মনে করেন, এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘ উন্নত দেশও জলবায়ু পরিবর্তনে এত বড় প্রকল্প নেয়নি৷ চার হাজার ৪০৯ টি পরিবারের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে ৬০০ পরিবার এখন এখানে এসেছে৷ আশা করছি সহসাই বাকি সব পরিবার এখানে আসবেন৷’’