1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জরিপ: জার্মানিতে গণতন্ত্রে বিশ্বাস এখনও জোরালো

৩০ এপ্রিল ২০২৩

নানা ধরনের সংকট সত্ত্বেও জার্মানিতে গণতন্ত্র এখনও শক্তিশালী৷ এ সংক্রান্ত একটি জরিপের ফল রাজনৈতিক বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে৷ কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিস্থিতি নিয়ে উৎকণ্ঠা রয়েই যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4QjEL
২০১৯ সালে প্রথম সমীক্ষার তুলনায় গণতন্ত্রে আস্থার হার কিছুটা বেড়েছে
২০১৯ সালে প্রথম সমীক্ষার তুলনায় গণতন্ত্রে আস্থার হার কিছুটা বেড়েছেছবি: Markus Schreiber/AP Photo/picture alliance

সদ্য প্রকাশিত এক জরিপের ফলাফল অনুসারে, জার্মানিতে বসবাসকারী প্রায় অর্ধেক মানুষ গণতন্ত্রের পরিস্থিতি নিয়ে মোটামুটি বা বেশ সন্তুষ্ট৷ অন্যদিকে অর্ধেকের বেশি মানুষ কম সন্তুষ্ট বা একেবারেই সন্তুষ্ট নন৷

তাহলে গ্লাস কি অর্ধেক ভরা নাকি অর্ধেক খালি? ‘ট্রাস্ট ইন ডেমোক্রেসি ইন টাইমস অফ ক্রাইসিস' শিরোনামে এই জরিপটি পরিচালনা করেছে সামাজিক গণতন্ত্রীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থিংক ট্যাংক ফ্রিডরিখ এবার্ট ফাউন্ডেশন (এফইএস)৷

এফইএস-এর নির্বাহী পরিচালক সাবিনে ফান্ডরিশ জরিপের ফলকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন৷ তার মতে গণতন্ত্র আরও ভাল এবং আরও দৃঢ়ভাবে কাজ করছে, ‘‘একাধিক সংকটের মধ্যেও, যা কেউ আশা করেনি৷'' ২০১৯ সালে এই ধরনের প্রথম সমীক্ষার তুলনায় গণতন্ত্রে আস্থার হার কিছুটা বেড়েছে৷ তখন গণতন্ত্রে আস্থা ছিল ৪৬ দশমিক ছয় শতাংশ অংশগ্রহণকারীর, এখন তা বেড়ে ৪৮ দশমিক সাত শতাংশ হয়েছে৷

তবে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি অসন্তুষ্ট, সেটিও অস্বীকারের উপায় নেই৷ জরিপে দেখা গেছে স্বল্পশিক্ষিত এবং অল্প আয়ের মানুষদের মধ্যে গণতন্ত্রে আস্থাহীনতা বেশি৷ পাশাপাশি পশ্চিম জার্মানির তুলনায় পূর্ব জার্মানিতে বসবাসকারীদের মধ্যে গণতন্ত্রে আস্থার হার তুলনামূলক কম৷

জার্মানির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মন্ত্রী

‘পপুলিস্টদের জন্য সুযোগ’

ফান্ডরিশ সামাজিক সংহতি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ তিনি মনে করেন, জনগণের মধ্যে নানা সংকটের সহজ উত্তর পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়ছে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই, এটি পপুলিস্টদের জন্য একটি সুযোগ৷''

সামগ্রিক ফল মিশ্র হলেও রাজনীতি বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ডেকারের নেতৃত্বে গবেষকেরা জরিপে পাওয়া ইতিবাচক দিকগুলোর উপরও জোর দিয়েছেন৷ তার মতে, ‘‘যদি আমরা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করি, তবে আমরা জার্মানিতে বেশ ভাল করছি৷''

এ প্রসঙ্গে ডেকার অতি-ডানপন্থি দল পপুলিস্ট অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি -এএফডি এর ভোটের ফলাফলের দিকে ইঙ্গিত করেন৷ দলটি সম্প্রতি জার্মানি জুড়ে গড়ে ১৫ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে নিতে পেরেছে৷ কিন্তু একই ধরনের দল ইউরোপের অন্য নানা দেশে ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পাচ্ছে৷

উদাহরণস্বরূপ, ফ্রিডম পার্টি অফ অস্ট্রিয়া দেশটির নির্বাচনে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে৷ ডেকার বলেন, "সেখানকার মানুষ গণতন্ত্রের টিকে থাকা নিয়েই অনেক বেশি উদ্বিগ্ন৷'' ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট জিতেছেন কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল ব়্যালি এর প্রার্থী মারি লঁ পেন। ডেকার বলেন, ‘‘ইটালিতে একটি ডানপন্থি সরকার গঠিত হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন একজন পোস্ট-ফ্যাসিস্ট৷''

ডেকার মনে করেন, এই জরিপের ফলে বোঝা যায় যে জার্মানি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো গভীর সামাজিক বিভাজন জার্মানিতে নেই৷

মার্সেল ফ্যুরশ্টেনাউ/এডিকে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান