1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনগণের পকেট কেটে বিশ্বকাপের অর্থ জোগান?

১২ জুলাই ২০১৮

কর বাড়াও ও পেনশন কমাও – এই নীতিতে এবারের বিশ্বকাপের খরচ সামাল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক রাশিয়া৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ইভেন্টটি আয়োজনে খরচের বোঝা তাদের টানতে হবে বেশ কয়েক বছর৷

https://p.dw.com/p/31Ke3
Rubel Banknote
ছবি: picture-alliance/dpa/E. Ducke

রাশিয়ায় এখন ফুটবল ছাড়া কোনো কথাই নেই৷ শুধু আয়োজক হিসেবেই নয়, বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের গতিময় ফুটবলও মন কেড়েছে সবার৷ কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে ছিটকে পড়লেও রাশিয়ার পারফরম্যান্স ফ্যানদের মাথা উঁচু করেছে

কিন্তু এসব ডামাডোল যে শেষ হবার সময় এসেছে! ১৫ জুলাই শেষ হবে এই মহাসমারোহ৷ বাড়ি ফিরবেন দেশের বাইরের ফুটবল ফ্যানরা৷ তখন আবার শুরু হবে স্বাভাবিক জীবন৷

কিন্তু এর মাঝেই ৯২১ কোটি ইউরোর যে আর্থিক বোঝা চাপছে পুটিন সরকারের মাথায়, তা কিভাবে মোকাবেলা করবেন তারা?

প্রথমত, ২০১৮-তে রাশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এমনিতেই খুব বেশি হবার কথা ছিল না৷ সেখনে তা ২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে নেমে এখন ১ দশমিক ৯ ভাগ প্রাক্কলন করা হচ্ছে৷ ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধির গতি আরো শ্লথ হবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে৷

 এর একটি কারণ অবশ্য সরকারের মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়ানোর ঘোষণা৷ পয়লা জানুয়ারি থেকে দেশটিতে ভ্যাট ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০ শতাংশ হচ্ছে৷ সিদ্ধান্তের পরই একটি ঋনাত্মক গতি দেখা গেছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে৷

এমনকি দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় পর্যন্ত বলছে, এই সিদ্ধান্ত প্রবৃদ্ধির রাশ টেনে ধরবে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়াবে৷ এর কারণ, গত চার বছর ধরে বেতনাদিও বাড়ছে না৷ তবে এই সিদ্ধান্তে সরকারি কোষাগারে প্রায় ৬২০ বিলিয়ন রুবল বা ৮৪০ কোটি ইউরো জমা করবে, যা বিশ্বকাপের খরচ (৯২১ কোটি ইউরো)-এর ঘাটতি অনেকটাই মেটাতে সক্ষম হবে৷

এদিকে, পেনশনের ওপর চাপ কমাতে চাকরিতে অবসরের বয়সসীমাও বাড়াতে চলেছে রাশিয়া৷ পুরুষদের ক্ষেত্রে ২০১৯ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে বয়স ৬০ থেকে ৬৫ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ২০৩৪ সালের মধ্যে বয়সসীমা ৫৫ থেকে ৬৩ করতে চলেছে তারা৷

রাশিয়ার শ্রমমন্ত্রী ম্যাক্সিম টোপিলিন বলেন যে, এই অর্থ পেনশন সুবিধা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে৷ এখন রাশিয়াতে গড়ে একেকজন মাসে ২০০ ইউরো করে পেনশনের অর্থ পান৷

তবে বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে এরই মধ্যে সাধারণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে৷

মিখাইল বুশুয়েভ/জেডএ