1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন-মার্কিন সম্পর্ক

৩ মে ২০১২

দৃষ্টিহীন বিক্ষুব্ধ চীনা নেতা চেন গুয়াংচেং৷ তাঁর জন্য মার্কিন-চীন সম্পর্কে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ পরীক্ষা দিতে হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও৷

https://p.dw.com/p/14oVB
ছবি: AP

প্রায় দুই বছর নিজগৃহে বন্দি থাকার পর গতমাসের ২২ তারিখে পালাতে সক্ষম হন চেন৷ এরপর আশ্রয় নেন বেইজিং'এর মার্কিন দূতাবাসে৷ সেখানে ছিলেন ছয়দিন৷ বুধবার তিনি বের হয়ে আসেন৷ এর কারণ হিসেবে নিজ পরিবারের উপর চীনা সরকারের হুমকির কথা জানান চেন৷ পরে সিএনএন এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এজন্য মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দায়ী করেন তিনি৷ চেন বলেন, মার্কিন কর্মকর্তারাই দূতাবাস ছেড়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে জোর করেছেন৷ এজন্য মিথ্যে করে তাঁকে বলা হয়েছে যে, চীন সরকার তাঁর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভাল আচরণ করবে৷

কিন্তু চেন এখন বলছেন, পরিস্থিতি ভিন্ন৷ মার্কিন দূতাবাস থেকে বের হয়ে আসার পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বুঝতে পারেন, চীনে থাকাটা তাদের জন্য নিরাপদ নয়৷ তাই অ্যামেরিকায় আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন চেন৷ সিএনএন'এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে চেন প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে আবেদন জানিয়েছেন৷

Hillary Clinton und Wang Qishan in Beijing
সম্মেলনে হিলারি ক্লিন্টনছবি: REUTERS

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা চেন'কে সাহায্য করতে রাজি আছেন৷ আর চীনা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি৷

এদিকে, চেন'কে দূতাবাসে আশ্রয় দেয়ায় এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে চীন৷ এছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী বার্ষিক চীন-মার্কিন বৈঠকেও চেন'এর ঘটনা প্রভাব ফেলছে৷ সম্মেলনে যোগ দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এখন চীনে৷ বুধবার তিনি চেন'এর সঙ্গে দেখা করেছেন৷ তবে সম্মেলনের উদ্বোধনীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি চেন'এর নাম উল্লেখ করেন নি৷ কিন্তু মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ এদিকে, চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও বলেছেন, দুই দেশের উচিত যার যার বিষয়কে সম্মান জানানো৷ দুদেশের সম্পর্কের অবনতি হলে সেটা পুরো বিশ্বের জন্যই ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন চীনা প্রেসিডেন্ট৷

এদিকে, চেন'কে নিয়ে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ কেননা এ বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ চীনের প্রতি কঠোর হতে না পারায় ইতিমধ্যে তিনি রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনির রোষের মুখে পড়েছেন৷

কে এই চেন?

৪০ বছর বয়সি চেন বেইজিং প্রশাসনের কাছে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী হিসেবেই শুধু চিহ্নিত নন, তিয়েনানমেন স্কোয়্যারের বিপ্লবেও তাঁর অংশগ্রহণ ছিল৷ গর্ভপাত বিরোধী আন্দোলন করে সাম্প্রতিক অতীতে তিনি বেশ পরিচিতিও পান৷ ছেলেবেলা থেকে দৃষ্টিহীন চেন প্রায় চার বছর জেলে থাকার পর ২০১০ সালে মুক্তি পান৷ তবে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল চীনা প্রশাসন৷ এসময় তাঁদের উপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ চেন'এর৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য