1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চুক্তিভঙ্গের হুমকি ইরানের

৪ জুলাই ২০১৯

পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি বলেছেন, আগামী রবিবারের পর থেকে তাঁর দেশ আর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তি মানবে না৷

https://p.dw.com/p/3LZGS
USA Iran Spannungen Symbolbild Rohani im Atomkraftwerk in Bushehr
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Iranian Presidency Office/M. Berno

রোহানিকে উদ্ধৃত করে দেশটির সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি জানায়, চুক্তিতে অংশগ্রহনকারী দেশগুলো কোনো সুনির্দিষ্ট পথ বের করতে না পারলে ইরান নিজের ‘ইচ্ছামতো ও প্রয়োজনমতো' ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ  করবে৷

জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ইরানকে তিন দশমিক ৬৭ মাত্রার তিন'শ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল৷ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্র ও জার্মানিসহ মোট ছয়টি দেশের সাথে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি থেকে গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়৷ চুক্তিতে ত্রুটি আছে দাবি করে ট্রাম্প ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে, যা ইরানের অর্থনীতিকে টালমাটাল অবস্থায় ফেলে দেয়৷ এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান জানায়, চুক্তিতে অংশগ্রহনকারী বাকি দেশগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অবরোধের ক্ষতিপূরণের সঠিক পথ দেখাতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশটি পূনরায় ‘উন্নতমানের ইউরেনিয়াম' উৎপাদন শুরু করবে৷ আগামী রোববার, অর্থাৎ ৭ জুলাই ইরানের বেঁধে দেয়া ৬০ দিন শেষ হচ্ছে৷

রোহানি জানান ‘‘তিন দশমিক ৬৭ মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের যে চুক্তি ছিল আমরা আর সেটি মানবো না৷ আমরা আমাদের প্রয়োজনমতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করব৷''        

এ সময় তিনি আরো জানান, তাঁর দেশ ‘‘ চুক্তির শর্ত শতভাগ মেনে চলবে, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ স্বাক্ষরকারী অন্য দেশগুলো চুক্তিটি শতভাগ মেনে চলে৷''

ফ্রান্সের প্রতিক্রিয়া

ইরানের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলেছে, চুক্তি ভঙ্গ করে ইরান খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারবে না৷ চুক্তিটিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া হলে তা শুধুমাত্র চলমান অস্থিরতাকেই বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র৷

আরআর/এসিবি (রয়টার্স, এপি)