1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের সঙ্গে ডাব্লিউএইচও-র বিতর্ক

৭ জানুয়ারি ২০২১

কীভাবে করোনা ছড়ালো, তা নিয়ে তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে ডাব্লিউএইচও। চীন সেই কমিটির কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেয়নি দেশে।

https://p.dw.com/p/3ncEK
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান
ছবি: Martial Trezzini/Keystone/picture alliance

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে এবার তীব্র বিতর্কে জড়ালো চীন। গত মঙ্গলবার ডাব্লিউএইচও দাবি করেছিল, তাদের দুই কর্মকর্তাকে চীনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। করোনা ভাইরাসের উৎস খুঁজতে তাঁরা চীনে গিয়েছিলেন। বুধবার রাতে চীন সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ডাব্লিউএইচও-র সঙ্গে দিন এবং তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছে। তার আগে কী ভাবে তারা প্রতিনিধি পাঠিয়ে দিলেন, তা স্পষ্ট নয়। সে কারণেই ওই কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে করোনা ভাইরাসের প্রথম চিহ্ন পাওয়া যায় চীনে। দেশের উহানে প্রথম এই ভাইরাসে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে প্রশ্ন ওঠে, ভাইরাসটি কি প্রাকৃতিক, না কি ল্যাবরেটরিতে তৈরি? অ্যামেরিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশ দাবি করে, চীন পরীক্ষাগারে ওই ভাইরাস তৈরি করেছে। উহানের একটি ল্যাবরেটরি থেকে কী ভাবে ভাইরাসটি বাইরে চলে আসে, সে বিষয়েও নানা বিতর্কিত তথ্য সামনে আসতে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য বরাবরই চীনের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভাইরাসটিকে প্রকৃতিজাত বলেও দাবি করেছে তারা। বস্তুত, এ নিয়ে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ডাব্লিউএইচও-র বিতর্কও হয়। ট্রাম্প তাদের ফান্ডিং বন্ধ করে দেন।

এবার সেই ডাব্লিউএইচও-র সঙ্গেই বিতর্কে জড়িয়েছে চীন। ১০ জনের একটি দল তৈরি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই দলটি চীনে গিয়ে করোনার উৎসের সন্ধান করবে। অর্থাৎ, প্রথম কী ভাবে করোনা ছড়ালো, তা বের করার চেষ্টা করবে। এ বিষয়ে চীনের সঙ্গে ডাব্লিউএইচও-র আলোচনাও চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, সেই কাজেই দুই কর্মকর্তা চীনে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিসায় সমস্যা আছে বলে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। চীন দাবি করেছে, বিষয়টি নিয়ে ডাব্লিউএইচও-র সঙ্গে এখনো কথা চলছে। তদন্তের দিনক্ষণ নিয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট তারিখ সাব্যস্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতেই দুইজন কর্মকর্তা চলে আসেন। ফলে তাঁদের বাধ্য হয়েই ফেরত পাঠাতে হয়েছে।

উহানের যে পরীক্ষাগারটির নাম বার বার উঠে আসছে, সেখানে এর আগেও কাউকে ঢুকতে দেয়নি চীন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তাদেরও কি সেখানে তারা ঢুকতে দিতে চাইছে না? বিভিন্ন মহলে এ প্রশ্ন উঠছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)