চীনের অর্ধেক লোক বাস করে শহরে
২৮ এপ্রিল ২০১১আজ বৃহস্পতিবার চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের গত বছরের আদমশুমারির তথ্য প্রকাশ করেছে৷ এতে দেখা গেছে যে, ২০১০ সালে চীনের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১.৩৪ বিলিয়নে৷ তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণার চেয়ে সেটা কমই রয়েছে, কারণ তারা মনে করেছিলেন এই সংখ্যা দাড়াতে পারে ১.৪ বিলিয়নে৷ তবে এখনও বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের অবস্থানটি ধরে রেখেছে চীন৷ দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অবশ্য কমে আসছে৷ দেখা গেছে, ২০০০ সালে জনসংখ্যা ছিল ১২৭ কোটি৷ আগের দশ বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার ছিল ১১.৭ শতাংশ৷ কিন্তু সর্বশেষ ২০১০ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে প্রায় অর্ধেক ৫.৯ শতাংশ৷
আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী চীনের বেশিরভাগ জনগণ এখন শহরমুখী এবং প্রায় অর্ধেক লোকই বাস করে শহরে৷ এদের পরিমাণ শতকরা ৪৯.৭ ভাগ৷ বিগত ২০০০ সালে এর পরিমাণ ছিল শতকরা ৩৬ ভাগ৷ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শিল্পায়নের ফলে নগরায়নও দ্রুত গতিতে বাড়ছে দেশটিতে৷
বয়স্ক জনসংখ্যা নিয়ে ভাবনা
তবে যে বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলেছে তা হলো চীনের বুড়িয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি৷ দেশটিতে তরুণ জনশক্তির সংখ্যা কমে আসছে৷ দেখা গেছে, ১৪ কিংবা তার চেয়ে কম বয়সীদের সংখ্যা ১৬ শতাংশের বেশি যা দশ বছর আগের চেয়ে ছয় শতাংশেরও বেশি কম৷ অন্যদিকে ৬০ কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা আগের চেয়ে প্রায় তিন শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ১৩ ভাগে৷ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের কারণে দেশটির বেশিরভাগ মানুষ এখন আগের চেয়ে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে, একই সঙ্গে তারা উন্নত জীবন যাপন করছে৷ এর পাশাপাশি আগের চেয়ে সন্তান জন্মদানের হারও কমছে৷ তাই সেখানে বুড়িয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে বলে আদমশুমারির প্রতিবেদনে বলা হয়৷ উল্লেখ্য, চীনা সরকার শহরগুলোতে এক সন্তান এবং গ্রামগুলোতে দুই সন্তান নীতি অনুসরণ করার কারণে সেখানে গত কয়েক দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে৷ জনসংখ্যাবিদরা মনে করছেন, তরুণ জনসংখ্যা কমে আসলে দেশটি তার বর্তমান দ্রুত বর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভবিষ্যতে ধরে রাখতে পারবে না৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী