1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিয়ম এড়াতে আত্মহত্যা

৩০ মে ২০১৪

রাষ্ট্রের থাবায় ঐতিহ্য হুমকির মুখে, তাই জীবদ্দশায় আর সেই অঘটন দেখে লাভ নেই৷ সমাধির বদলে সৎকারের ফরমান মানতে না পেরে চীনে মনের দুঃখে ছয়জন বৃদ্ধ নাকি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/1C92r
H7N9 Grippe China
ছবি: Reuters

পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে চীনে হাজার হাজার বছর ধরে একটা ঐতিহ্য চলে এসেছে৷ মৃতদেহ কফিনে ভরে সমাধিতে রাখা হয়৷ এভাবে আত্মীয়স্বজনদের কাছেই থেকে যান পূর্বপুরুষরা৷

জনসংখ্যার চাপ ও উন্নয়নের তাগিদে চীনে জমি ক্রমশঃ দুর্লভ হয়ে উঠছে৷ ফলে যেখানে-সেখানে পূর্বপুরুষদের সমাধি বাধা হয়ে উঠছিল৷ চীনা কর্তৃপক্ষ গত কয়েক বছরে এমন অনেক সমাধি ভেঙে ফেলেছে৷ সরকার চায়, মৃতদেহ এভাবে সংরক্ষণ না করে দাহ করা হোক৷ তবে শুধু প্রচার অভিযানে কাজ হচ্ছে না৷ তাই পূবের আনহুই প্রদেশের আনচিং শহরের কর্তৃপক্ষ স্থির করেছে, ১লা জুনের পর বাধ্যতামূলকভাবে মৃতদেহ সৎকার করতে হবে৷ সমাধি গড়ে তাতে কফিনে করে রেখে দিলে চলবে না৷ মে মাসেই কফিন বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু হয়ে গেছে৷

পরম্পরার উপর এমন আঘাত সইতে পারছে না অনেকেই৷ সেই অঞ্চলে ছয়জন বৃদ্ধের সাম্প্রতিক আত্মহত্যার ঘটনা গোটা বিষয়টিকে আরও উসকে দিয়েছে৷ মৃতদের পরিবারের দাবি, নতুন নিয়ম এড়াতে তাঁরা নাকি আগেই স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন৷ ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ সংবাদপত্র এ বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনে অবশ্য মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছে৷

সংবাদপত্রটি ‘বেইজিং নিউজ’-কে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ সেই রিপোর্ট
অনুযায়ী, গত ৫ই মে সরকারি ঘোষণা শোনার পরই ৯১ বছরের এক বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেন৷ আরেক ৮৩ বছরের বৃদ্ধার সামনেই সরকারি কর্মকর্তারা তাঁর কফিন ভেঙে দু-টুকরো করে দেন৷ সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন৷ উল্লেখ্য, অনেক মানুষ জীবদ্দশাতেই প্রায় এক দশক ধরে নিজের কফিন প্রস্তুত করেন৷ ৬৮ বছরের এক নারী কূয়ায় ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যা করেন৷ বাকিরা বিষ খেয়ে মারা যান৷

স্থানীয় সরকারের দাবি, নতুন নিয়মের সঙ্গে এই সব মৃত্যুর ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই৷ তাঁরা সবাই নাকি স্বেচ্ছায় নিজেদের কফিন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন৷ চীনের মতো বড় দেশে বয়স্ক মানুষের রোগ ও মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত স্বাভাবিক৷

চীনের সব অঞ্চলে অবশ্য কফিন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না৷ তবে কবর ভেঙে নির্মাণের ঘটনা বিরল নয়৷ শুধু হেনান প্রদেশেই ২০১২ সালে প্রায় ৪ লক্ষ কবর ভেঙে দেওয়া হয়৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

Bildreihe DPA China Xinjiang Flash Format
পরম্পরার উপর এমন আঘাত সইতে পারছে না অনেকেইছবি: picture-alliance/ dpa
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য