1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন-বেলারুশ সামরিক চুক্তি

১৮ আগস্ট ২০২৩

বেলারুশ সফরে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পূর্ব ইউরোপের দেশটির সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক বাড়ানোর বার্তা।

https://p.dw.com/p/4VJ8F
চীন-বেলারুশ বৈঠক
বেলারুশ সফরে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীছবি: Belarusian Presidential Press Office/AP/picture alliance

বেলারুশ সফরে গিয়ে দেশের প্রধান আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক মজবুত করার জন্যই বেলারুশে গেছেন তিনি। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে সার্বিক সম্পর্কের উন্নতিও তার সফরের অন্যতম লক্ষ্য।

তবে সামরিক ক্ষেত্রে কী কী চুক্তি হয়েছে দুই দেশের সে বিষয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। বেলারুশের লুকাশেঙ্কো জানিয়েছেন, বেলারুশের প্রতিরক্ষার কথা মাথায় রেখেই চুক্তি হয়েছে, আলোচনা হয়েছে। এর ফলে অন্যদেশের কোনো ক্ষতি হবে না। লুকাশেঙ্কো মনে করিয়ে দিয়েছেন, প্রতিরক্ষার বিষয়ে বেলারুশ সম্পূর্ণভাবে চীন এবং রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। এই দুই বন্ধুই বেলারুশের পাশে আছে।

এদিনের বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো। সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, শি-কে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন তিনি। শি তার অন্যতম বন্ধু।

সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে বেলারুশ এবং চীনের দূরত্ব ক্রমশ বেড়েছে। তাইওয়ানে চীন যেভাবে সামরিক মহড়া করছে, অ্যামেরিকা-সহ ইউরোপের দেশগুলি তার কঠোর নিন্দা করছে। একইসঙ্গে মানবাধিকার নিয়েও চীনকে বারংবার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। সম্প্রতি অ্যামেরিকায় চীনের গুপ্তচরবৃত্তি নিয়েও রীতিমতো শোরগোল হয়েছে।

অন্যদিকে বেলারুশ ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। রাশিয়াকে তারা সবরকম সাহায্য করছে। এই পরিস্থিতিতে বেলারুশের সঙ্গে চীনের সামরিক বৈঠক ভূরাজনীতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)