চাঁদে কেমনভাবে কাজ করবে চন্দ্রযান-৩
বুধ-সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমেছে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। চন্দ্রবিজয়ের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছে ভারত।
ভোর হলো, দোর খোলো
বিক্রম যখন চাঁদে নেমেছিল, তখন সেখানে ভোর হয়েছে। আলো ফোটার পরই ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে সফলভাবে বেরিয়ে এসেছে রোভার প্রজ্ঞান। এই রোভার কাজ করে সৌরশক্তিতে। ইসরো জানিয়েছে, বিক্রমের পেতে রাখা ঢালু পথ বেয়ে নেমে এসেছে ছয় চাকার প্রজ্ঞান। এবার চাঁদের পিঠে ঘুরে ঘুরে নানান তথ্য সংগ্রহ করবে। আর তার পাঠানো তথ্য থেকেই চাঁদ নিয়ে অজানা তথ্য পাবেন বিজ্ঞানীরা।
১৪ দিন ধরে
প্রজ্ঞান ১৪ দিন ধরে চাঁদের পাথর, জলীয় বরফ-সহ নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে, পরীক্ষা করবে, ছবি তুলবে, তারপর বিক্রমের মাধ্যমে তা পাঠাবে ইসরোর কাছে। অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষাপর্ব। আর যেহেতু প্রজ্ঞান সৌরশক্তিতে চলে এবং ১৪ দিন পর আর সে কাজ করবে না।
চাঁদের মাটিতে
চাঁদের মাটিতে ভারতের পতাকা ও ইসরোর প্রতীক এঁকে দেবে প্রজ্ঞান। সে দেখবে, চাঁদের মাটিতে কী কী খনিজ পদার্থ আছে। চাঁদের ভূমি কীভাবে তৈরি হয়েছে, ইত্যাদি। এই রোভারে আছে পাঁচটি যন্ত্র।
১৯ মিনিটে অবতরণ
বুধবার ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা বেজে ৪৫ মিনিটে শুরু হয়েছিল ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদে অবতরণের পালা। ১৯ মিনিট পরে সে চাঁদে নামে। গতবার ঠিক দুই দশমিক দুই কিলোমিটার আগে ভেঙে পড়েছিল চন্দ্রযান-২। এবার সেই দূরত্ব পেরিয়ে যাওয়ার পরই আনন্দে ফেটে পড়েন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
৪০ দিনে চাঁদে
গত ১৪ জুলাই অন্ধ্রের শ্রীহরিকোটা থেকে য়াত্রা শুরু করেছিল চন্দ্রযান-৩। ৪০ দিনের মাথায় চাঁদের মাটিতে পা রাখলো ল্যান্ডার বিক্রম। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা সফল হলেন চন্দ্রবিজয় করতে।
উল্লসিত গোটা দেশ
বিজ্ঞানীদের এই সাফল্যে উল্লসিত গোটা দেশ। বিক্রম চাঁদে পা রাখার পরই শুরু হল বিজয়োল্লাস। শুরু হয় মিছিল। কোথাও পায়ে হেঁটে. কোথাও বাইক-মিছিল।
বঙ্গসন্তানরাও সাফল্যের সঙ্গী
ইসরোয় ছয়জন বাঙালি বিজ্ঞানী চন্দ্রযান-৩ অপারেশন দলের সদস্য। তারা হলেন, বিজয় দাই, সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কৃশানু নন্দী, তুষারকান্তি দাস, অনুজ নন্দী ও কৌশিক নাগ। এছাড়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের একটি দল ইসরোর সহযোগী সংস্থার ভূমিকা পালন করেছে।