1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহামারি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের দাবি

২৫ মে ২০২১

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাৎসরিক সম্মেলনে করোনা সংকট ও ভবিষ্যতের মহামারি মোকাবিলায় এই সংস্থার সংস্কার, অর্থায়ন ও ক্ষমতায়ন নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ টিকা বণ্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার দাবিও উঠছে৷

https://p.dw.com/p/3ttVf
Schweiz Generaldirektor der Weltgesundheitsorganisation (WHO) Tedros Adhanom Ghebreyesus
ছবি: Christopher Black/WHO/REUTERS

চলমান করোনা সংকটের ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে দ্রুত সমন্বয় ও সহযোগিতার প্রয়োজন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ অথচ সেই দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়ে তর্কবিতর্কের শেষ নেই৷ সংস্কার ও ক্ষমতায়ন ছাড়া ডাব্লিউএইচও যে কার্যকর ভূমিকা নিতে অনেকটাই অক্ষম, সে বিষয়েও সচেতনতা বাড়ছে৷ বর্তমান সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে  ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে কী করা উচিত, সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাৎসরিক সম্মেলনে ১৯৪টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন৷ আগামী ১লা জুন পর্যন্ত ৭৪তম ওয়ার্ল্ড হেল্থ অ্যাসেমব্লি চলবে৷

করোনা সংকট মোকাবিলায় ধনী দেশগুলির ভূমিকা সম্পর্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ দুর্লভ করোনা টিকার সিংহভাগ হাতে গোনা কয়েকটি দেশের জিম্মায় থাকায় বাকি বিশ্বে টিকাদানের হার অত্যন্ত কম৷ এমন বৈষম্য দূর করার পক্ষে জোরালো দাবি শোনা গেছে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস বলেন, ‘‘আমরা একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাঝে রয়েছি৷ তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আমাদের অস্ত্রগুলির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে৷''

বর্তমান ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কারের জন্য চাপ দিচ্ছে ইউরোপের দেশগুলি৷ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছাড়াই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আরও স্বাধীনভাবে এই সংস্থার কাজের সুযোগের পাশাপাশি অর্থায়ন বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করছে এই সব দেশ৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নীতির ক্ষেত্রে ডাব্লিউএইচও-এর কেন্দ্রীয় ভূমিকার প্রয়োজন৷ বিশেষ করে সংকটের সময়ে প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবার ক্ষমতা থাকতে হবে বলে তিনি মনে করেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল মহামারির ঝুঁকি দেখলেই দ্রুত পদক্ষেপের উপর জোর দেন৷ তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির মূল্যায়ন করতে এক পরিষদ গঠনের প্রস্তাবের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন৷

নীতিগতভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে ঐকমত্য সত্ত্বেও খুঁটিনাটি বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে৷ বিশেষ করে যে কোনো দেশে নিরপেক্ষ তদন্তের ক্ষমতা ও গুরুতর হুমকির আশঙ্কা দেখলে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করার স্বাধীন ক্ষমতা নিয়ে আপত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ মহামারির প্রস্তুতির জন্য আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের প্রশ্নে অবশ্য তেমন আপত্তি দেখা যাচ্ছে না৷ এমন মহামারি আবার মাথাচাড়া দিলে টিকার বণ্টনের ক্ষেত্রেও সাম্য নিশ্চিত করার দাবি শোনা যাচ্ছে৷ এবারের সম্মেলনে যাবতীয় প্রস্তাব বিবেচনা করে সার্বিক উদ্যোগের রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য