1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলতি সপ্তাহেই জার্মানিতে সরকার গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে

১৮ অক্টোবর ২০২১

সংসদ নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পরেই জার্মানিতে তিন দলের জোট সরকার গড়ার আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ শুরু হচ্ছে৷ দলীয় অনুমোদনের পর অভিন্ন কর্মসূচি ও মন্ত্রণালয় বণ্টন নিয়ে দরকষাকষির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/41nfs
ছবি: Sascha Steinach/dpa/picture alliance

ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে বহু দশক পর তিন দলের জোট সরকার গড়ার উদ্যোগ অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে৷ শুক্রবার সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি, পরিবেশবাদী সবুজ দল ও উদারপন্থি এফডিপি দলের নেতারা প্রাথমিক আলোচনা সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে জোট গঠন সংক্রান্ত আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷ সেই ঘোযণার ঠিক পরেই এসপিডি দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বমণ্ডলী সর্বসম্মতিক্রমে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে৷ রবিবার সবুজ দলের সম্মেলনেও সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়৷ সোমবার এফডিপি দলও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেবার পর নতুন জোট সরকারের রূপরেখা স্থির করতে দ্রুত আলোচনা শুরু হবার কথা৷ সে ক্ষেত্রে বড়দিনের আগেই চ্যান্সেলর হিসেবে সরকার গঠনের আশা করছেন এসপিডি নেতা ওলাফ শলৎস৷

সম্ভাব্য জোট সরকারের দুই শরিক – সবুজ দল ও এফডিপি আগামী সরকারের অংশ হতে কতটা বদ্ধপরিকর, নেতাদের একটি মন্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ এক সপ্তাহ আগে সবুজ দলের নেতা রোব্যার্ট হাবেক বলেছিলেন, ‘ব্যর্থতা কোনো বিকল্প হতে পারে না'৷ এবার এফডিপি নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারও সেই একই মন্তব্য করলেন৷

বিরোধী আসনে বসে সরকারের সমালোচনা ও অনড় আদর্শগত অবস্থান আঁকড়ে ধরে দাবির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার তুলনায় জোট সরকারের অংশ হিসেবে যতটা সম্ভব কাজ করে দেখানোর সুযোগের সদ্ব্যাবহার করতে চাইছে এফডিপি ও সবুজ দল৷ সেইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের উপর নিয়ন্ত্রণও তাদের লক্ষ্য৷ তার বদলে বেশ কিছু নীতির প্রশ্নে আপোশ মানতেও প্রস্তুত দলের নেতারা৷ এসপিডি দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনার পর যে খসড়ার ভিত্তিতে কোয়ালিশন গড়ার আলোচনায় রাজি হয়েছে এই দুই দল, তাতে এমন অনেক দাবির উল্লেখ না থাকায় তৃণমূল স্তরে কিছুটা অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে৷ তবে নেতৃত্বের সরাসরি বিরোধিতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷

তিন দলের নেতারা প্রাথমিক আলোচনার সময়ে যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে এসেছেন এবং গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন, তা দলমতনির্বিশেষে জার্মানির রাজনৈতিক মহলে সম্ভ্রম আদায় করেছে৷ তবে মন্ত্রণালয় বণ্টনের প্রশ্নে এফডিপি ও সবুজ দলের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে৷ এফডিপি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের জন্য তাদের শীর্ষ নেতা লিন্ডনারকেই সবচেয়ে উপযুক্ত হিসেবে তুলে ধরছে৷ সবুজ দল কোয়ালিশন গঠনের প্রক্রিয়ার আগেই পদ নিয়ে এমন দাবিদাওয়া সম্পর্কে বিরক্তি প্রকাশ করেছে৷

ভবিষ্যৎ অর্থমন্ত্রীর পদ ছাড়াও এই মন্ত্রণালয় কীভাবে তিন দলের সব মৌলিক নীতি কার্যকর করার অর্থের জোগান দেবে সে বিষয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে৷ বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রেখে ও করের বোঝা না বাড়িয়ে কীভাবে এমন অসাধ্যসাধন করা সম্ভব, সে বিষয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে৷ রবিবার রাতে এসপিডি নেতা শলৎস এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এমন সংশয় দূর করার চেষ্টা করেছেন৷ তাঁর মতে, দেশের আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য অবশ্যই অর্থের প্রয়োজন হবে৷ তবে সে ক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, বেসরকারি উদ্যোগেরও বড় অংশগ্রহণ থাকবে৷ দুইয়ের মধ্যে সঠিক ভারসাম্যের ভিত্তিতেই এমন চ্যালেঞ্জ সামলানো সম্ভব বলে শলৎস মনে করেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)