1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্থিক প্রবৃদ্ধি

৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২

২০১১-১২ সালের অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৬.৯% গত তিন বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন৷ অর্থনীতিবিদদের মতে, এর কারণ মূলত ইউরোজোন সঙ্কট, কঠোর মুদ্রানীতি এবং রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা৷ এর চটজলদি উন্নতির সম্ভাবনা কম৷

https://p.dw.com/p/13yXS
ছবি: AP

ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া অবশ্য মনে করেন, ৬.৯% প্রবৃদ্ধি আমরা যেটা বলে আসছি তারসঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ৷ আমরা বলেছিলাম, ২০১১-১২ সালে প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭%৷

অর্থনীতিবিদদের মতে, এর চটজলদি উন্নতির সম্ভাবনা কম৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সুদের হার কমাতে হবে৷ সেটা হয়ত বাজেটের পরই হবে৷ মুদ্রাস্ফীতির রাশ টানতে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে এবং রাজস্ব ঘাটতি সুসংহত করতে হবে সরকারকে৷

ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখিনতার জন্য অর্থনীতিবিদরা অনেকাংশে দায়ী করছেন ইউরোজোন এবং মার্কিন বাজারের মন্দাকে৷ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রতন খাসনবিশ ডয়চে ভেলেকে বললেন,আমাদের আর্থিক প্রবৃদ্ধির কাঠামোটা দাঁড়িয়ে ছিল বাইরের ভালো বাজার পাবার ওপর৷ তাই ইউরোজোন ও আমেরিকার মন্দায় ভারত মার খেয়েছে বেশি৷ ২০১৩তে যদি ইউরোজোন ও আমেরিকার বাজার আবার চাঙ্গা হয় তাহলে ঐসব দেশ আমদানি বাড়াবে, ভারতের প্রবৃদ্ধিও বাড়বে৷

অধ্যাপক খাসনবিশের মতে, নব্য-উদারিকরণকে আঁকড়ে ধরে সবটাই বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়াটা কতটা সঙ্গত সরকারকে তা নিয়ে ভাবতে হবে৷ কারণ ভারত এখনো সেই সাবালকত্ব অর্জন করেনি, যেখানে সব কিছুই বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া যায়৷ কৃষি ও বুনিয়াদি শিল্পে সরকারের ব্যাপক বিনিয়োগ দরকার৷

অভ্যন্তরিণ বাজারে কৃষিক্ষেত্রকে মজবুত না করা, ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় গলদ ছিল, বলেন অধ্যাপক খাসনবিশ৷৷

সরকারের হিসেব অনুযায়ী চলতি আর্থিক বছরে কৃষি উৎপাদনের হার হবে ২.৫%,ম্যানুফ্যাকচারিংএ ৩.৯% নির্মাণ শিল্পে ৪.৮% এবং মাইনিং-এ ২.২%৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য