1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘুরে দাঁড়াতে চায় ম্যার্কেলের শিবির

৩১ আগস্ট ২০২১

নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী এসপিডি দলের সমর্থন বেড়ে চললেও ম্যার্কেলের প্রস্থানের পর ক্ষমতার শীর্ষে থাকতে চায় তার রক্ষণশীল শিবির৷ আরমিন লাশেট ও দলের নেতারা জোরালো প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3ziPG
নির্বাচনী প্রচারে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে তার দলের চ্যান্সেলরপ্রার্থী আরমিন লাশেট ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance

জার্মানির সাধারণ নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে সামাজিক গণতন্ত্রী দলের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে৷ শুধু রবিবারের টেলিভিশন বিতর্ক নয়, একাধিক জনমত সমীক্ষায় ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে এসপিডি৷ চ্যান্সেলর হিসেবে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রস্থানের পর ধাকাবাহিকতা বজায় রাখতে বিদায়ী সরকারের ছোট শরিক দলের নেতৃত্বের উপর আস্থা প্রকাশ করছেন বেশিরভাগ সম্ভাব্য ভোটার৷

সোমবার প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুযায়ী, এসপিডি দল ও দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ওলাফ শলৎস আরো দুই শতাংশ এগিয়ে ২৫ শতাংশ সমর্থন আদায় করছে৷ অন্যদিকের ম্যার্কেলের রক্ষণশীল শিবির ও শিবিরের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী আরমিন লাশেট তিন শতাংশ হারিয়ে রেকর্ড ২০ শতাংশে নেমে গেছে৷ সোমবারের সমীক্ষা অনুযায়ী, আগামী জোট সরকার গড়ার ক্ষেত্রে লাশেটের তুলনায় শলৎসের হাতে অনেক বেশি সুযোগ থাকবে৷

 

রক্ষণশীল শিবিরের প্রার্থী লাশেটের এমন করুণ ভাবমূর্তি সত্ত্বেও নেতারা তার প্রতি জোরালো সমর্থন প্রকাশ করছেন৷ বিদায়ী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেন, ভোটারদের মন জয় করতে আগামী চার সপ্তাহে আরো সংগ্রাম চালাতে হবে৷ বিপর্যয় এড়াতে লাশেটের বদলে বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডারকে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে আসরের নামানোর প্রস্তাব তিনি উড়িয়ে দেন৷ স্পান বলেন, ম্যাচের মাঝে কোচ বদল করা হয় না৷

প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে আক্রমণাত্মক ভূমিকা গ্রহণ করে ম্যার্কেলের শিবিরের প্রার্থী লাশেট মানুষের মন জয় করতে না পারলেও শিবিরের মধ্যে কিছুটা সমীহ আদায় করেছেন৷ এমনকি তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত স্যোডার বলেন, এর ফলে নির্বাচনের আগে রক্ষণশীল শিবির নতুন গতি পাবে এবং প্রচার অভিযানে সক্রিয় দলের নেতা-কর্মীরা উদ্বুদ্ধ হবেন৷ লাশেট নিজেও হাল ছাড়তে প্রস্তুত নন৷ জনমত সমীক্ষায় খারাপ ফলাফল উপেক্ষা করে তিনি বরং অবশিষ্ট সময়ে মানুষের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন৷ লাশেট বলেন, কোন প্রার্থী চ্যান্সেলর হবার যোগ্য ভোটারদেরই সেই সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক৷

চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর জনপ্রিয়তার অভাব সত্ত্বেও সেই দুর্বলতা ঢাকতে রক্ষণশীল শিবির মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরার চেষ্টা করছে৷ আবার ক্ষমতায় ফিরলে কর অপরিবর্তিত রাখা, দেশের আধুনিকীকরণে জোরালো গতি, নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা এবং শিল্পজগতের ক্ষতি ছাড়াই পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগের মতো প্রতিশ্রুতি নিয়ে আরও প্রচার চালাতে চায় সিডিইউ ও সিএসইউ দল৷ সেইসঙ্গে বিকল্প জোটের দুর্বলতা সম্পর্কেও ভোটারদের সতর্ক করে দিতে চায় রক্ষণশীল শিবির৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান