1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশগ্রিস

গ্রিসে রেকর্ড তাপমাত্রা, আরো পর্যটকের মৃত্য়ু

২৭ জুন ২০২৪

গরমে ভয়াবহ অবস্থা গ্রিসে। একাধিক দ্বীপ থেকে পর্যটকদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। সকলেই ছুটি কাটাতে গেছিলেন।

https://p.dw.com/p/4hYtI
গ্রিসে পর্যটকদের মৃত্য়ু
গ্রিসে গরমে হাইকিং করছেন পর্যটকেরাছবি: Petra Otte/dpa/picture alliance

সোমবার ক্রিট থেকে উদ্ধার হয়েছে এক জার্মান পর্যটকের দেহ। তিনি সেখানে হাইকিং করতে গেছিলেন। ৬৭ বছরের এই ব্য়ক্তি স্ত্রীর সঙ্গে গ্রিসে বেড়াতে এসেছিলেন। সম্প্রতি তিনি ঠিক করেন ওমালস মালভূমি থেকে হেঁটে তিনি জেলেদের গ্রামে যাবেন। গোটা রাস্তাটি ২৪ কিলোমিটারের কাছাকাছি। আট থেকে ১০ ঘণ্টার এই রাস্তাটি দুর্গম নয়। কিন্তু গরমে সেই রাস্তাই ভয়ংকর হয়ে ওঠে।

সম্ভবত গরমেই এই ব্যক্তি রাস্তা গুলিয়ে ফেলেন এবং গর্জের দিকে যেতে থাকেন। সেখান থেকে স্ত্রীকে ফোনও করেছিলেন এই ব্যক্তি। জানিয়েছিলেন, তার শরীর ভালো লাগছে না। এরপর আর কথা হয়নি তাদের। রোববার নিখোঁজ ডায়েরি করেন স্ত্রী। সার্চ পার্টি খুঁজতে খুঁজতে সোমবার তার দেহ উদ্ধার করে।

হাইকিং করতে গিয়ে এই নিয়ে ছয়জনের মৃত্য়ু হলো গ্রিসে। তিনজন এখনো নিখোঁজ। এর মধ্যে অ্যামেরিকার এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার এবং দুইজন নারী আছেন। তারা প্রত্য়েকেই পঞ্চাশোর্ধ।

ঐতিহাসিকভাবে জুন মাসে গ্রিসে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভিড় জমান। কারণ, এই মাসটি গ্রিসের গ্রীষ্ম উপভোগের জন্য় বিখ্য়াত। এবার জুন মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা ছুঁয়েছে গ্রিস। তাপমাত্রা জায়গায় জায়গায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই গরমে হাইকিং করতে বেরিয়ে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হচ্ছে অধিকাংশ পর্যটকের। লক্ষণীয় অধিকাংশ পর্যটকই বৃদ্ধ। গরমে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স্ক মানুষদের শরীর অনেক তাড়াতাড়ি গরম হয়। এবং সেই গরম কমতে অনেক বেশি সময় লাগে। আরো একটি বিষয় কাজ করছে, যাদের মৃত্য়ু হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই ঠান্ডার দেশ থেকে ভূমধ্য়সাগরীয় অঞ্চলে এসেছেন। বেশি গরমে কী পরিস্থিতি হয়, সে বিষয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট ধারণা নেই।

প্রশাসনের বক্তব্য়, যাদের মৃত্য়ু হচ্ছে, তারা খুব তৈরি হয়েও হাঁটতে বের হচ্ছেন না। গরমে অ্যাক্রোপলিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের বার বার সচেতন করা হচ্ছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা দুপুর রোদে বাইরে বার হচ্ছেন।

কাকি বালি/এসজি