চাপের মুখে গুগল, ফেসবুক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা ডিজিটাল যুগে ইউরোপের ভবিষ্যৎ রূপরেখা স্থির করতে শুক্রবার এস্টোনিয়ার রাজধানী টালিন-এ মিলিত হচ্ছেন৷ প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির মাঝে প্রতিযোগিতার বাজারে ইউরোপের অবস্থান মজবুত করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর৷ সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারে, সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেবার তোড়জোড় করছে৷ উল্লেখ্য, এ ক্ষেত্রে এস্টোনিয়া এর মধ্যেই বিপুল সাফল্য অর্জন করেছে৷
শরণার্থীর ঢল, আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট, পপুলিস্টদের উত্থান, কাঠামোগত দুর্বলতাসহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ তবে একাধিক সংস্কারের মাধ্যমে ব্রেক্সিট-পরবর্তী যুগে ইইউ-কে শক্তিশালী করে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও মাক্রোঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷
এসব প্রস্তাব কার্যকর করতে আগামী দুই সপ্তাহ ধরে আলাপ-আলোচনার পর ইউরোপীয় কমিশন কিছু স্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷
শুক্রবার ইইউ নেতারা ডিজিটাল অর্থনীতি ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করছেন৷ গুগল ও ফেসবুকের মতো বহুজাতিক ডিজিটাল কোম্পানি এতকাল যেভাবে ইউরোপে কর এড়িয়ে ব্যবসা করে চলেছে, সেই ব্যবস্থায় ইতি টানতে চান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ৷ ইইউর মধ্যে তাদের যে আয় হচ্ছে, তার উপর কর চাপাতে চান তিনি৷ উল্লেখ্য, ইউরোপে গুগল, এয়ারবিএনবিসহ একাধিক কোম্পানির বিরুদ্ধে এর মধ্যেই কর ফাঁকি সংক্রান্ত মামলা চালানো হয়েছে৷
তবে আয়ারল্যান্ডের মতো ছোট দেশগুলি এই প্রস্তাব প্রতিরোধ করছে, কারণ করের নিম্ন হারের মাধ্যমে তারা এতকাল বড় ডিজিটাল কোম্পানিগুলিকে আকর্ষণ করতে পেরেছে৷ বিদায়ী দেশ ব্রিটেনও মনে করে, মূলত মার্কিন ডিজিটাল কোম্পানিগুলির উপর ইউরোপে কর চাপালে মার্কিন প্রশাসন রুষ্ট হয়ে পালটা পদক্ষেপ নিতে পারে৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)