1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুগল প্লাসের জবাব: ফেসবুকের স্কাইপ সেবা

৭ জুলাই ২০১১

গুগল প্লাস যদি ফেসবুকের সোশাল নেটওয়ার্কিং সাম্রাজ্যে ভাগ বসাতে চায়, তাহলে ফেসবুকই বা ছাড়বে কেন? কাজেই ফেসবুক এবার স্কাইপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভিডিও চ্যাটের সুযোগ দিতে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/11qho
Logo Facebook Skype Bildkombo
ফেসবুক এবার স্কাইপের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে

বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টো'তে ফেসবুকের মুখ্য কার্যালয়ে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গের মুখ থেকে শোনা গেল, ‘‘আমরা বিশ্বের সেরা ভিডিও চ্যাট প্রযুক্তিকে বিশ্বের সেরা সোশাল নেটওয়ার্কিং অবকাঠামোর সঙ্গে জুড়ে বেশ কিছু অত্যাধুনিক দৃশ্যপট সৃষ্টি করতে চলেছি৷'' ফেসবুক-স্কাইপের ভিডিও চ্যাট সেবা নাকি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া যাবে এবং এখন থেকেই সেই ‘অপশান'কে সক্রিয় করা যাবে৷ এই নতুন ভিডিও চ্যাট নাকি মাত্র একটি ক্লিকেই সম্ভব হবে৷

এ'থেকে স্কাইপ কী পাচ্ছে, তার উত্তরে স্কাইপের সিইও টোনি বেটস এক কথায় বলেছেন, ‘পরিধি' এবং ভবিষ্যতে স্কাইপের যে সব সেবা নিখরচার নয়, সেগুলোকে ওয়েব ফরম্যাটে বাজারে আনার সুযোগ৷ সব মিলিয়ে, বিজনেস৷ কিন্তু ফেসবুকের ক্ষেত্রে গুগলের সঙ্গে প্রতিযোগিতাই বোধহয় প্রধান উদ্দেশ্য৷ গুগল প্লাসের সঙ্গে ফেসবুকের যতোই মিল থাক না কেন, গুগল টেক্কা মেরেছে একটি ভিডিও কনফারেন্স সেবা দিয়ে, যার কল্যাণে ১০ জনের বেশি মানুষ একটি ভিডিও কলে অংশগ্রহণ করতে পারেন৷ সাকারবার্গ আভাস দিয়েছেন, এই আঙ্গিকটিও কালে ফেসবুকে আসতে পারে৷ তবে অধিকাংশ ভিডিও চ্যাট দু'জনের মধ্যে হয় বলেই তাঁর ধারণা৷

Information ueber den neuen "Google+" Dienst steht am Mittwoch (29.06.11) in Berlin auf dem Monitor eines Computers. "Google+" ist ein weiterer Versuch von Google zum Aufbau eines eigenen Sozialen-Netzwerk-Angebots, das Facebook Konkurrenz machen koennte.(zu dapd-Text) Foto: Adam Berry/dapd
গুগল প্লাস যদি ফেসবুকের সোশাল নেটওয়ার্কিং সাম্রাজ্যে ভাগ বসাতে চায়, তাহলে ফেসবুকই বা ছাড়বে কেন?ছবি: dapd

মজার কথা, ফেসবুকের স্কাইপ ভিডিও চ্যাট সেবার ফলে কিন্তু ফেসবুক এবং মাইক্রোসফটের মধ্যে সহযোগিতাও ঘনিষ্ঠতর হবে, কেননা মাইক্রোসফট সাড়ে আট বিলিয়ন ডলার দিয়ে স্কাইপকে কেনার কথা ঘোষণা করে মাত্র গত মে মাসে৷ এছাড়া মাইক্রোসফটের ফেসবুকেও ১.৬ শতাংশ শেয়ার আছে৷ নিন্দুকে বলবে, মাইক্রোসফট'ই তো প্রতিযোগিতার শুরু করেছে গুগল'এর বাজারে হাত বসানোর জন্য তাদের বিং সার্চ এঞ্জিন সৃষ্টি করে৷ আসল কথা, ইন্টারনেটে অভাবনীয় পরিমাণ বিজ্ঞাপনের অর্থ স্রেফ হাওয়ায় ঘুরছে৷ এবং তা ধরবার জন্য ফেসবুক থেকে গুগল, গ্রুপন থেকে টুইটার, সবাই এ্যাকটিভ৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন