গাড়ির বদলে সাইকেল!
২৪ মার্চ ২০১২স্যুট-বুট ওয়ালা কোনো তরুণকে সাইকেলে চেপে অফিসে যেতে কেউ কোনোদিন দেখেছেন বাংলাদেশে? কিংবা আজ-কালের ফ্যাশন সচেতন, ধোপদুরস্ত ছেলেদের কেউ কি আর সাইকেলে চড়ে হাওয়া খেয়ে বেড়ায় ঢাকায়?
জানি, উত্তরে আপনি বলবেন, আরে ধুর! তাই কি হয় না কি! রোদের মধ্যে সাইকেলে পেডেল মেরে, ঘেমে নেয়ে অফিসে গেলে স্যুটের আর মান থাকলো কই! কিংবা বলবেন, সাইকেল চালিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে কি আর হাওয়া খাওয়া হয় না কি?
আপনার কথায় যুক্তি আছে বটে৷ কিন্তু সাইকেলটা যদি হয়, বৈদ্যুতিক? যদি তাতে লাগানো থাকে এমন প্যাডেল যে, সেটা ঘোরালে গতি খালি বাড়বেই?
গায়ে হাওয়া লাগিয়ে, প্রিয় একটা গানের কলি মনে মনে গাইতে গাইতে, কোনো শক্তি খরচ না করেই প্যাডেল মেরে, অফিসে পৌঁছে যাবার মতো সাইকেল যদি পাওয়া যায়, তাহলে? সে সাইকেলটা পাবার জন্য ইচ্ছে হবে বৈকি!
বৈদ্যুতিক এ সাইকেলের পেছন দিকে লাগানো আছে ৪ কেজি ওজনের একটা ব্যাটারি৷ ৬০ থেকে এক'শ কিলোমিটার পর্যন্ত এ ব্যাটারি চালিয়ে নেবে আপনাকে৷ ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি দেবে এ সাইকেল৷ আর ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেলে চার্জ দিতে হবে চার ঘন্টা৷
রং ও নকশা মিলিয়ে সাইকেলগুলো দেখতেও মনোহারী৷ আর এ সাইকেলের ডিজাইনটাও এমনভাবে করা হয়েছে যে, মেয়েরা স্কার্ট পরেও দিব্যি চালাতে পারবে এটি৷
এই বৈদ্যুতিক সাইকেলের এক মেলা বসেছে জার্মানির কোলন শহরে৷ কিশোর থেকে বুড়ো, ডাকা-বুকো তরুণ থেকে স্যুট পরা কর্পোরেট চাকুরে বা স্টাইলিশ তরুণী - সবাই এসে জুটেছে এ মেলায়৷ এমন একটা সাইকেল সবাই নিজের জন্য কিনতে চায়৷
গাড়ির বিকল্প হিসেবে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড ও চীনে এই সাইকেলের এখন দারুণ কদর৷ এমনকি, শহরে ছোটো-খাটো কাজ করা বা ভ্রমণের জন্য গাড়ির বদলে এখন এই সাইকেলকে প্রাধান্য দিচ্ছেন কেউ কেউ৷ এছাড়া, বৈদ্যুতিক এই সাইকেলটিকে দেখা হচ্ছে বেশ পরিবেশ বান্ধব হিসেবেও৷
তবে কি না, সাধের এ সাইকেলটা ঘরে আনতে পারছে না অনেকেই৷ জার্মানিতে এর দাম যে এখনো বেশ চড়া৷ একেকটি সাইকেলের মূল্য তিন হাজার ইউরো৷ বাংলাদেশি টাকায় যা তিন লাখেরো বেশি৷
প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ