গাদ্দাফি বিতাড়ন পরিকল্পনা বাস্তব রূপ নিচ্ছে
৩০ মার্চ ২০১১লিবিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের চূড়ান্ত লক্ষ্য যে কি, সে'বিষয়ে তো আর কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না৷
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মঙ্গলবার একাধিক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, লিবিয়ায় মিত্রজোটের সামরিক অভিযানের লক্ষ্য হল গাদ্দাফির উপর চাপ বাড়িয়ে চলা, যা'তে তিনি শেষমেষ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন৷ লন্ডনের সম্মেলন থেকে ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্কো ফ্রাত্তিনি'ও বলেছেন যে, গাদ্দাফিকে যে দেশ ছাড়তে হবে, সে বিষয়ে সকলেই একমত৷ কিন্তু গাদ্দাফি কোন দেশে যাবেন, সেটা এখনও অনিশ্চিত, কেননা কোন দেশই তাকে নেবার কথা এখনও কিছু বলেনি, এমনকি আফ্রিকার দেশগুলোও নয়৷
লন্ডনে পরে যে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো অন্ত ছিল না, তা' হল: পশ্চিমা শক্তিরা বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করার কথা ভাবছে কি না৷
এখানে বাস্তব পরিস্থিতি যে কি, তা' বলা শক্ত৷ বিদ্রোহীদের মধ্যকালীন জাতীয় পরিষদের মুখপাত্র মুস্তাফা ঘুরিয়ানি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমরা যে অস্ত্রসংগ্রহ করছি না, এ'টা ভাবলে ভুল করা হবে৷'' তবে ফ্রান্স অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রসরবরাহের কোনো প্রস্তাব দিয়েছে কিনা, সে'বিষয়ে তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেন৷ শুধুমাত্র বলেন যে, কিছু অনুল্লিখিত বন্ধুরাষ্ট্র বিদ্রোহীদের সমর্থন করছে৷
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যালাঁ জুপে লন্ডনে বলেছেন, ফ্রান্স বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেবার ব্যাপারে কথাবার্তা বলতে রাজি৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, তিনি বিদ্রোহীদের অস্ত্রপ্রদানের সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করছেন না৷ ওদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বলেছেন, মার্কিন দৃষ্টিকোণ থেকে, সংঘাতপীড়িত এলাকা হিসেবে লিবিয়ায় অস্ত্রসরবরাহের উপর জাতিসংঘের যে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে - জাতিসংঘের ১৯৭৩ নম্বর প্রস্তাবে সে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে৷
অর্থাৎ বিদ্রোহীরা নো-ফ্লাই এবং গাদ্দাফি বাহিনীর উপর বিমান হানার পর এবার অস্ত্রশস্ত্রও আশা করতে পারে৷ বিশেষ করে সির্তে থেকে যখন তাদের কামানের গোলার মুখে পালিয়ে আসতে হয়েছে৷ গাদ্দাফির ট্যাংক গতকাল মিস্রাতা'তেও ঢুকেছে৷ কাজেই বিদ্রোহীদের এখন যা চাই, তা হল অস্ত্র৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম