1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় স্কুল, হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলা, মৃত ৩০

৫ আগস্ট ২০২৪

গাজা কর্তৃপক্ষের দাবি, বহু নারী, শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, হাসামের কম্যান্ড সেন্টারকে টার্গেট করা হয়েছিল।

https://p.dw.com/p/4j6dd
আল-আকসা হাসপাতাল চত্বরে ইসারায়েলের হামলার পর ফিলিস্তিনিরা ঘটনাস্থল পরিস্থিতি দেখছেন।
আল-আকসা হাসপাতালের কাছে অস্থায়ী ব্যবস্তা করে প্রচুর মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল। ছবি: Abdel Kareem Hana/AP/dpa/picture alliance

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুইটি স্কুলে ইসরায়েলের সেনা আক্রমণ করেছে। এর ফলে ২৫ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু।

ফি্লিস্তিনের সরকারি সংবাদসংস্থা ও হামাসের মিডিয়া জানিয়েছে, হাসান সালেমা ও আল-নাসের-এ এই আক্রমণে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। দুইটি জায়গাতেই ঘরছাড়া মানুষরা ছিলেন বলে তাদের দাবি।

ইসরায়েলের সেনা এই আক্রমণের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেছে, ওই জায়গাগুলি সন্ত্রাসবাদীরা ব্যবহার করছিল।

তাদের দাবি, দুইটি স্কুল ছিল, হামাস সন্ত্রাসবাদীদের লুকিয়ে থাকার জায়গা।  এখানেই ছিল তাদের কম্যান্ড সেন্টার। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। ইসরায়েলের সেনার এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

হাসপাতালে হামলায় মৃত পাঁচ

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতাল চত্বরে ইসরায়েলের হামলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

তারা জানিয়েছেন, আল-আকসা হাসপাতাল চত্বরে তাঁবুতে ঘরছাড়ারা আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই আক্রমণ করেছে ইসরায়েল। এর ফলে আগুন ধরে যায়।

ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের সেনার দাবি, একজন সন্ত্রাসীকে টার্গেট করা হয়েছিল। প্রাথমিক আক্রমণের পর সেখানে বিস্ফোরণ হয়। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ওখানে বিস্ফোরক রাখা ছিল।

গত জুন মাসে মানবাধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের অফিস থেকে বলা হয়েছিল, ইসরায়েল হাসপাতালগুলিকে টার্গেট করেছে। এটা যুদ্ধ-আইনের বিরোধী।

ইসরায়েলের সেনা দাবি করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০টি সন্ত্রাসবাদী টার্গেটে তারা আক্রমণ চালিয়েছে।

দূতাবাস কর্মীদের সরালো যুক্তরাজ্য

বৈরুত থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিলো যুক্তরাজ্য। নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা যাতে নিরাপদে ফিরতে পারেন, সে জন্য সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী ও কূটনীতিকদের সাহায্য নেয়া হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেবাননে থাকা দেশের সব নাগরিককে অবিলম্বে ব্রিটেনে ফিরে আসার অনুরোধ করেছেন।

জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আবেদন

ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাজানি রোববার জানিয়েছেন, জি৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিকে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তারা যেন এমন কোনো কাজ না করে, যাতে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ে।

ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশকে অনুরোধ করছি, আলোচনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, এমন কোনো কাজ যেন তারা না করেন।

মন্ত্রীরা জাবি করেছেন, ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে অবিলম্বে শান্তিচুক্তি সই হোক এবং বন্দিদের মুক্তি দেয়া হোক।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)