1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইসরায়েল

গাজায় এখনো পর্যন্ত ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু

২ জানুয়ারি ২০২৪

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখবর জানিয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রতি ছয়জনে একজন সেনার মৃত্যু হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4amSp
গাজায় ইসরায়েলের অভিযান
মর্টার নিয়ে অভিযানে ইসরায়েলের সেনাছবি: Israeli Army/AFP

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ২৯ জন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে গাজা অভিযানে। যার অর্থ, প্রতি ছয় জনে একজন সেনার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনা অথবা নিজেদের ছোঁড়া গুলি বা বোমায়।

ইসরায়েলের দাবি, গাজায় যে একইসঙ্গে স্থসেনা অভিযান চালাচ্ছে আবারবিমানবাহিনী এবং মর্টার বাহিনীও অপারেশন চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আকাশ থেকে ক্রমাগত বোমা ফেলা হচ্ছে। দূরপাল্লার রকেটও ছোঁড়া হচ্ছে। এরই আঘাতে বেশ কিছু ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। ট্যাঙ্ক থেকে ছোঁড়া গোলার আঘাতেও নিজেদের সেনার মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এমন দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন সেনার।

এদিকে বেশ কিছু সেনাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আপাতত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বলা হয়েছে। যথেষ্ট বিশ্রাম নিয়ে তারা যাতে আবার যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে আসতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র জানিয়েছেন, অভিযান শেষ হতে সময় লাগবে। তাই সেনাবাহিনীর সদস্যদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ২০২৪সালজুড়ে গাজা অভিযান চলবে। হামাসকে খতম না করা পর্যন্ত এই অভিযান বন্ধ হবে না।

গাজায় মৃত ২২ হাজার

গাজায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশু এবং নারীও আছে। প্রবল খাদ্যসংকটের পথে এগোচ্ছে গাজা। তারই মধ্যে খানিকটা স্বস্তির খবর হলো, শিশুদের ভ্যাক্সিন ঢোকার অনুমতি পেয়েছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, অন্তত ৬ লাখ টিকা গাজায় ঢুকেছে। এর মধ্যে পোলিও জাতীয় রোগের ভ্যাকসিনও আছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই টিকা ওয়েস্ট ব্যাংকে কিনেছে। এরপর জাতিসংঘের মাধ্যমে তা গাজায় পাঠানো হচ্ছে। রুবেলা, মাম্পসের মতো অসুখের টিকাও আছে এর মধ্যে।

তবে ভ্যাকসিন দেওয়া সহজ নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, অধিকাংশ মানুষ বাড়ি ছেড়ে ক্যাম্পে গিয়ে বসবাস করছেন। ফলে কোন অঞ্চলে এর আগে কত টিকাকরণ হয়েছে, সেই হিসেব এখন পাওয়া মুশকিল।

এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার সর্বত্র ভ্যাকসিন নিয়ে পৌঁছানোও এখন প্রায় অসম্ভব। কারণ, বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল সংঘাত চলছে। গত একদিনে ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ২৪৬।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)