1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি

ফাহমিদা সুলতানা১৭ জানুয়ারি ২০০৯

ইসরায়েলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনী এক আকস্মিক সফরে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র যান৷ বুশ প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হবার মাত্র চার দিন আগে অনেকটা তারাহুরো করেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো৷

https://p.dw.com/p/GaCn
ইসরায়েলী বিমান হামলাছবি: AP

গাজায় যুদ্ধ বিরতির লক্ষ্যে সেখানে অস্ত্র চোরাচালান রোধে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিজা রাইস এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনীর মধ্যে শুক্রবার ওয়াশিংটনে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়৷

এদিকে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর , ইসরায়েলী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসন নিয়ে একটি একপক্ষিয় যুদ্ধ বিরতির কথা ইসরায়েল বিবেচনা করছে ৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীসভার বৈঠকে শনিবার রাতে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে৷ ফিলিস্তিনী উপত্যকায় অস্ত্র চোরাচালান রোধে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশরের কাছ থেকে ইসরায়েল সহায়তা লাভের প্রতিশ্রুতি পাবার পর, বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি হয়৷

তবে ইসরায়েলী বিবেচনায়, হামাসের কোন প্রস্তাব মেনে নেয়া বা কিছু সময়ের জন্যে ইসরায়েলী বাহিনীর গাজা ছেড়ে যাবার কোন সম্ভাবনা এতে অন্তর্ভুক্ত নেই৷

ওয়াশিংটনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিজা রাইস বলেন, এই সমঝোতা স্বারকের মাধ্যমে, গাজায় অস্ত্র এবং বিস্ফোরকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে৷ এই সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের জন্যে ইসরায়েলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনী এক আকস্মিক সফরে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র যান৷ বুশ প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হবার মাত্র চার দিন আগে অনেকটা তারাহুরো করেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো৷ অনুষ্ঠানে রাইস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার অংশিদারের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেই আজ আমরা এই সমঝোতা স্বারকে সই করেছি৷ সমঝোতা স্বারক অনুযায়ি আমরা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারবো৷

ইসরায়েলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনী এই চুক্তি স্বাক্ষরকে ঐতিহাসিক হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এই চুক্তি বৈরিতা অবসানে অত্যন্ত প্রয়োজনিয় ছিল৷

এদিকে নির্বাসিত হামাস নেতা খালেদ মিশাল আরব লীগের নেতাদের বলেছেন, গাজা থেকে সম্পুর্নভাবে ইসরায়েলী সৈন্য প্রত্যাহার এবং মিশর সহ অন্যান্য জায়গার সঙ্গে ইসরায়েলের সীমান্ত খুলে দেয়া না হলে হামাস কোন যুদ্ধ বিরতি মেনে নেবে না৷

Kämpfe im Gazastreifen
২০০৮-এর ২৯-শে ডিসেম্বর ইসরায়েলী বাহিনীর স্থল হামলার প্রস্তুতিছবি: picture-alliance/ dpa

গত বছরের ২৭-শে ডিসেম্বর থেকে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে৷ ইসরায়েলের দক্ষিণে হামাস জঙ্গিদের রকেট এবং মর্টার ছোড়ার জবাব দিতেই এই হামলা শুরু করা হয় বলে ইসরায়েল জানিয়েছে৷ ইসরায়েলী হামলায় এই পর্যন্ত ১১শ-রও বেশী ফিলিস্তিনী প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে ৩শ জনই শিশু৷ ইসরায়েলী হামলায় ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ গাজায় মানবিক সংকটের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছে সাহায্য সংস্থাগুলো৷ অন্যদিকে হামাসের রকেট হামলায় ৩ জন বেসামরিক লোক সহ ১৩ জন ইসরায়েলী প্রাণ হারিয়েছে৷