1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইসরায়েল

গাজার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা

১ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলের সেনা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। দাবি, সেখানে হামাসের কম্যান্ডার ছিল। অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু।

https://p.dw.com/p/4YGgH
গাজায়র শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা
গাজার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলাছবি: Ahmed Zakot/REUTERS

স্থল অভিযান চালানোর আগে গাজার বেসামরিক মানুষদের উত্তর গাজায় স্থানান্তরিত হওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলের সেনা। এবার সেই উত্তর গাজার জাবালিয়া অঞ্চলে একটি লোকালয়ে হামলা চালালো ইসরায়েলের সেনা। ভোর রাতে ওই এলাকায় বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে বলে হামাস দাবি করেছিল। ঘটনায় গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। ইসরায়েলের সেনা তা স্বীকার করে নিয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, ওই এলাকায় সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল হামাস। এক হামাস কম্যান্ডার সেখানে আছে খবর পেয়েই ওই এলাকায় আক্রমণ চালানো হয়। সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে গিয়ে আশপাশের বেসামরিক বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশ্রয শিবিরের অন্তত তিনটি বাড়ি কার্যত মাটিতে মিশে গেছে বলে হামাসের দাবি। সাধারণ মানুষের মৃত্যুর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

লেফটন্যান্ট কর্নেল জোনাথান কনরিকাস জানিয়েছেন, ইব্রাহিম বিয়ারি হামাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন কম্যান্ডার। ৭ অক্টোবরের ঘটনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড তিনি বলে দাবি করেছেন কনরিকাস। জাবালিয়ায় একটি সুড়ঙ্গে ঘাঁটি তৈরি করে কাজ পরিচালনা করছিলেন ইব্রাহিম। সেখানে আরো অনেক হামাস যোদ্ধা ছিল বলে তার দাবি। সেই খবর পেয়েই সেখানে বিমান হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন কনরিকাস। তিনি জানিয়েছেন, ''ইব্রাহিমের পাশাপাশি আরো বেশ কিছু হামাস যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে ওই আক্রমণে।''

ইসরায়েলের দাবি, ওই সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করেই তারা বোমা নিক্ষেপ করেছিল। কিন্তু তার প্রভাবে আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাতেই বেসমরিক মানুষের মৃত্যু হয়। হামাস অবশ্য জানিয়েছে, ওই আক্রমণে অন্তত ৫০ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উপগ্রহচিত্রে দেখা যাচ্ছে, গোটা এলাকাটিতে বিরাট গর্ত তৈরি হয়েছে। বাড়িগুলি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

এদিনের ঘটনার সঙ্গে ২০২১ সালের ১৬ মে-র ঘটনার তুলনা করছেন অনেকে। সেদিনও ইসরায়েলের বিমান হামলায় বহু বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

রাফাহ ক্রসিং খোলার সম্ভাবনা

বেসামরিক মানুষদের গাজা ছাড়ার জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ। মঙ্গলবারের আক্রমণের পর মানবিকতার খাতিরে রাফাহ সীমান্ত খোলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবারই তা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সেক্ষেত্রে গাজা থেকে আহতদের মিশরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা যাবে। ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু হওয়ার পর এই প্রথম গাজা সীমান্ত সাধারণ মানুষের জন্য খোলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই গাজায় আটকে পড়া দেশের নাগরিকদের জানিয়েছে, দ্রুত রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছাকাছি চলে যাওয়ার জন্য। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, রাফাহ সীমান্ত খোলা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ঠিক কীভাবে সীমান্ত খোলা হবে, কতক্ষণের জন্য খোলা হবে, কাদের সেই পথ দিয়ে যেতে দেওয়া হবে, কিছুই এখনো স্পষ্ট নয়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)