ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫সিদ্ধান্তটি হচ্ছে গত চার দশক ধরে ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে যে গরু পাচার হয়ে আসছে সেটা পুরোপুরি বন্ধ করতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ এর পেছনে যে অবৈধ কাজ বন্ধের লক্ষ্য কাজ করেছে তা নয়, ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন নির্দেশের কারণ, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেন গরুর মাংস খাওয়া ছাড়তে বাধ্য হয়৷'
ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষতির কারণ হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘ফার্স্টপোস্ট'৷ ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশিরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কারণ এর ফলে মাংসের দাম অনেক বেড়ে গেছে৷ তাছাড়া সামনেই কোরবানির ঈদ৷ তার আগে গরুর সংকটে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ৷
এদিকে, ভারতের আরেকটি সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া' গত এপ্রিল মাসে হিসেব করে দেখিয়েছে যে, বিএসএফ যদি বাংলাদেশে গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ করতে সমর্থ হয় তাহলে ভারত সরকারকে প্রতি বছর ৩১ হাজার রুপি খরচ করতে হবে৷ কারণ স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী, একটি গরু মারা যাওয়ার পাঁচ বছর আগে থেকে দুধ দেয়া বন্ধ করে দেয়৷ এতদিন এই গরুগুলোই বাংলাদেশে পাচার করতো৷ কিন্তু এখন যদি সেটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এই গরুগুলোকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লালনপালন করে যেতে হবে৷ এবং সেজন্যই এত বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে৷
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার তিন পর্বের একটি সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ ভারতের সিদ্ধান্তের কারণে দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷
ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে টুইটার ব্যবহারকারীদের দুটি মন্তব্য৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন