1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুল এখন পশুখাদ্য

৮ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাস সংকটে পুরো দেশ স্থবির হয়ে পড়ায় ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের গদখালী অঞ্চলের ফুল চাষিরা ভরা মৌসুমে ফুল বেচতে না পেরে লোকসানের মুখে পড়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3acys
ছবি: bdnews24

বাংলাদেশে ফুলের বাজার প্রায় দেড়হাজার কোটি টাকার৷ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে গদখালির ফুল এখন বিদেশেও রপ্তানি হয়৷ বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯র কারণে পুরো বিশ্বই আজ লকডাউন৷

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, গত ২৪ মার্চ থেকে গদখালি ফুলের বাজার বন্ধ রয়েছে৷ অথচ বাংলাদেশে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল হচ্ছে ফুলের ভরা মৌসুম৷ বিশেষ করে বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বাংলা নববর্ষে ফুলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়৷

ঝিকরগাছার নন্দী ডুমুরিয়া গ্রামের গোলাম রসুল বলেন, তিনি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে গোলাপ, জবা, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাসের পাশাপাশি জারবেরা চাষ করেছেন৷

‘‘পরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে৷ ফুলের বাজার বসছে না৷ কেনাবেচা নেই৷ এদিকে ফুল না কাটলে নতুন করে আর কুঁড়ি আসে না৷ তাই গোলাপ ফুল কেটে ছাগল-গরু দিয়ে খাওয়াতে হচ্ছে৷’’

Bangladesch Blumen Anbau Krise Corona
ছবি: bdnews24

অথচ, এসময়ে প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগেই চাষি, পাইকার, মজুরের হাঁকডাকে  যশোর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে ফুলের স্বর্গরাজ্য গদখালী বাজার মুখর হয়ে উঠার কথা ছিল৷

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবস  ও বাংলা বর্ষবরণে ফুল বিক্রি করতে না পারায় এ অঞ্চলের ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীদের অন্তত ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে৷ বেচাকেনা বন্ধ থাকায় চাষিরা বাগান থেকে ফুল কেটে তা পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন৷ ছাগল-গরু দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে ফুল৷’’

১৯৮২ সালে ছোট্ট একটি নার্সারির মাধ্যমে গদখালিতে ফুলের চাষ শুরু করেন শের আলী সরদার নামে এক কৃষক৷ দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফুলচাষের পথিকৃৎ বলা যায় তাঁকেই৷ তাঁর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েই গদখালি এলাকায় সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি চাষি ঝুঁকেছেন ফুল চাষে৷

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় দুই লাখ মানুষ ফুল উৎপাদন ও বিপণন ব্যবসায় জড়িত৷  এ খাতে জীবিকা নির্বাহ করেছেন আরো প্রায় সাত লাখ মানুষ৷ দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের ফুল রপ্তানি হচ্ছে৷

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ জানান, এ বছর তার উপজেলায় ২৭২ হেক্টর জমিতে গ্লাডিওলাস, ১৬৫ হেক্টর জমিতে রজনীগন্ধা, ১০৫ হেক্টর জমিতে গোলাপ, ৫৫ হেক্টর জমিতে গাঁদা, ২২ হেক্টর জমিতে জারবেরা ও অন্যান্য ফুল চাষ করা হয়েছে প্রায় ৬ হেক্টর জমিতে৷

‘‘চাষিরা ফুল বিক্রি করতে পারছেন না৷ আবার ক্ষেতে ফুল রাখতেও পারছেন না৷ উভয় সংকটে পড়েছেন তাঁরা৷’’

গদখালি ফুলচাষি কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রনি আহম্মদও জানালেন তাদের বিপদের কথা৷ বলেন, ‘‘কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেই চিন্তাই আমাদের মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ এই ক্ষতি কোন জায়গায় গিয়ে ঠেকবে সেই ভাবনায় শঙ্কিত আমরা৷’’

এসএনএল/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

দেখুন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির ছবিঘরটি...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান