গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা: জয়
প্রকাশিত ৮ আগস্ট ২০২৪শেষ আপডেট ৮ আগস্ট ২০২৪আপনারা যা জানা দরকার
বাংলাদেশে আজ রাতেই নতুন সরকারের শপথগ্রহণ৷
ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন৷
সোমবার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়৷
বাংলাদেশে প্রশাসনিক পর্যায়ে চলছে নানা রদবদল৷
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদে যে নামগুলো শোনা যাচ্ছে:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস (প্রধান উপদেষ্টা)
উপদেষ্টা:
সালেহ উদ্দিন আহমেদ
ড. আসিফ নজরুল
আদিলুর রহমান খান
হাসান আরিফ
তৌহিদ হোসেন
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
মো. নাহিদ ইসলাম
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
ব্রিগ্রেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
সুপ্রদিপ চাকমা
ফরিদা আখতার
বিধান রঞ্জন রায়
আ ফ ম খালিদ হাসান
নূরজাহান বেগম
শারমিন মুরশিদ
ফারুক ই আজম
বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় শপথ নেবে উপদেষ্টা পরিষদ৷
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা: জয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেই ফিরে আসবেন। ভারতের গণমাধ্যম পিটিআইকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জয় বলেন, শেখ হাসিনা অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। তবে একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে ফিরবেন কি না এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
জয় আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা কখনোই বাংলাদেশের মানুষকে ছেড়ে যাবে না, আওয়ামী লীগের কাউকেও ত্যাগ করবে না।
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান জয়।
বাংলাদেশের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে বাংলাদেশের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেলেন মো. আসাদুজ্জামান। তিনি এ এম আমিন উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বুধবার ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বরাবর অব্যাহতিপত্র দেন এ এম আমিন উদ্দিন। এরপর পদটি শূন্য ছিল।
আমার কথা যদি না শোনেন, আমাকে বিদায় দেন: ড. ইউনূস
বিমানবন্দরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে বক্তব্য দেন ড. ইউনূস। বক্তব্যের শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ করেন তিনি৷ রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের কথা বলতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন৷
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দেশবাসীর প্রতি আমার আবেদন আপনারা যদি আমার উপরে বিশ্বাস রাখেন, আমার উপরে ভরসা রাখেন, তাহলে নিশ্চিত করেন দেশের কোনো জায়গায় কারো উপরে হামলা হবে না৷ এটা আমাদের প্রথম দায়িত্ব৷ এটা যদি আমি করতে না পারি, আমার কথা যদি না শোনেন আপনারা তাহলে আমার প্রয়োজন এখানে নাই৷ আমাকে বিদায় দেন৷ আমি আমার কাজে থাকি, সেখানেই ব্যস্ত থাকি৷’’
তিনি বলেন, ‘‘মানুষ মনে করে সরকার দমন পীড়নের যন্ত্র৷ এটা সরকার হতে পারে না৷ সরকারকে মানুষকে রক্ষা করবে৷ আস্থাভাজন হতে হবে৷ মানুষের মনে আস্থা ফেরাতে হবে৷ সবাই মিলে অগ্রসর হতে হবে৷ সারা বাংলাদেশ পরিবার হিসেবে চলবে৷’’
দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ চলছে বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনূস৷ তবে এগুলোকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আখ্যা দেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি মানুষকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব৷ যেই যাত্রার শত্রু এগুলো৷ এই শত্রুকে রোধ করতে হবে৷’’
ইউনূস দেশবাসী, তরুণ আন্দোলনকারী এবং সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষা করেন৷ বাংলাদেশ সুন্দর, সম্ভাবনাময় দেশ৷ সেটা আমরা নষ্ট করে ফেলেছি৷ সেটা নতুন করে আমাদে গড়তে হবে৷"
তরুণদের প্রশংসা করে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার অর্থ হলো, দেশ তোমাদের হাতে। তোমাদের মনের মতো করে গড়তে পারো৷ পালটে ফেলতে পারো৷ পুরনোদের বাদ দাও। তোমাদের মধ্যে সৃজশীলতা আছে, তাকে কাজে লাগাও৷’’
দেশে পৌঁছেছেন ইউনূস
দুপুর সোয়া দুইটা নাগাদ বাংলাদেশের শহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷ বিমানবন্দরের বাইরে রয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷
তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে রয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানেরা৷ বিমানবন্দরের আশেপাশের রাস্তায় জড়ো হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষ৷
আজ রাত আটটা নাগাদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ নেয়ার কথা রয়েছে৷
এফএস/এপিবি
রাতে নতুন সরকারের শপথগ্রহণ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকারে আজই নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে৷ গণআন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের ৭২ ঘণ্টা পরে নতুন সরকার দায়িত্বভার নিতে যাচ্ছে৷ ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার প্রধান হচ্ছেন সেই সিদ্ধান্ত আগেই নেয়া হয়েছে৷ তবে তার সঙ্গে এই সরকারের অন্য সদস্য কারা হচ্ছেন সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি৷ এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে, কী ধরনের কার্যপরিধি থাকবে সেসব বিষয়ও এখনও পরিষ্কার নয়৷
অলিম্পিক আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় প্যারিসে অবস্থানরত ইউনূস গতকালই বাংলাদেশের পথে রওনা হয়েছেন৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন৷ রাতে আটটা নাগাদ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেবেন৷
এফএস/এপিবি