1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খালেদা জিয়ার হার্টে তিনটি ব্লক, একটিতে পরানো হলো রিং

হারুন উর রশীদ স্বপন
১১ জুন ২০২২

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হার্টে একটি রিং পরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ৷ খালেদা জিয়া এখন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন৷

https://p.dw.com/p/4CZSi
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ৷ ফাইল ছবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ৷ ফাইল ছবিছবি: bdnews24.com

শুক্রবার দিবাগত রাতে খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গুলশানের বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়৷ সেখানে প্রথমে তার হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়৷ এরপর এনজিওপ্লাস্টি করা হয়৷ ডা. জাহিদ জানান, তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়লেও একটিতে রিং পরানো হয়েছে জীবনরক্ষার জন্য৷ তার অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পর বাকি দুইটিতে রিং পরানো হবে৷

তিনি বলেন, ‘‘তার কিডনি এবং এনজিওট্রান্সমিশন একটু স্থিতিশীল হলে বাকি দুইটি এনজিওপ্লাস্টি করা হবে৷ লিভার ফাংশন ঠিক না হলে কিছু করা যাবেনা৷ তাহলে যে কোনো সময় তার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে৷''

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার লিভারে সমস্যা,  ফুসফুসে সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনসহ আরো কিছু কিছু ক্রনিক ডিজিজ আছে৷ সেগুলোরও তেমন কোনো উন্নতি নেই৷ তাই আজকের (শনিবার) মেডিকেল বোর্ড বলেছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে৷

খালেদা জিয়ার লিভারে, ফুসফুসে সমস্যা: ডা. এ জেড এম জাহিদ


এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামআলমগীর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘আমি চিকিৎসক নই৷ তবে চিকিৎসকরা আমাকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার মাইল্ড অ্যাটাক হয়েছে৷ হাসপাতালে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে তার মূল আর্টারিতে ৯৯ শতাংশ ব্লক৷ আপাতত তাকে রিং পরিয়ে জীবনরক্ষা করা হয়েছে৷ আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য তাকে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে৷

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘আমি মেডিকেলে বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি৷ তারা দ্রুত খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন৷ তা না হলে তার জীবন সংশয়ের মুখে পড়বে৷''

খালেদা জিয়ার মাইল্ড অ্যাটাক হয়েছে: বিএনপি মহাসচিব

তিনি তার দলের পক্ষ থেকে অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে দেয়ার দাবি জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘এর আগে তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে৷ দলের পক্ষ থেকে আমরা আন্দোলন করেছি তারপরও তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেয়া হয়নি৷''

এদিকে, খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এভারকেয়ার হাসপাতালের হেড অফ মেডিকেল সার্ভিসেস ড. আরিফ মাহমুদ কোনো তথ্য দিতে চাননি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনো তথ্য দেব না৷ তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেন৷''

খালেদা জিয়ার বিদেশে যেতে বাধা কোথায়?


৭৬ বছর বয়সি খালেদা জিয়া এই নিয়ে মোট পাঁচবার হাসপাতালে ভর্তি হলেন৷ এর আগে টানা ২১ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন৷ গত বছরের ২৮ নভেম্বর চিকিৎসকরা তার লিভার সিরোসিসের কথা বলেছিলেন৷

বাংলাদেশের আদালত তাকে দুইটি মামলায় দণ্ড দিয়েছে৷ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়৷ ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার দণ্ড স্থগিত করে সরকার নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়৷ এরমধ্যে প্রধান শর্ত হলো তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না৷ তার পর থেকে আবেদন করে দণ্ড স্থগিতের আদেশ বাড়িয়ে বাড়িয়ে তিনি কারাগারের বাইরে আছেন৷


হারুন উর রশীদ স্বপন (ঢাকা)