খাবার অপচয় রোধের প্রকল্প
৩১ জানুয়ারি ২০১৯টাটইয়ানা ফন বর্মান দক্ষিণ আফ্রিকানদের খাবার অপচয় নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ধারণা, প্রতিবছর মোট খাবারের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ফেলে দেয়া হয়৷ পরিবেশের উপর এর একটা বিশাল প্রভাব আছে৷ এছাড়া আবর্জনা থেকে ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস, মিথেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ১২ মিলিয়ন মানুষ জানেন না তাঁদের পরবর্তী খাবার কোথা থেকে আসবে৷ এরপরও প্রতিবছর আমরা প্রায় ১০ মিলিয়ন টন খাবার অপচয় করছি৷’’
রুডল্ফ ব়্যোশার কয়েক বছর ধরে খাবার অপচয় রোখার চেষ্টা করছেন৷ স্থানীয় কৃষি অফিসে তিনি কাজ করেন৷
বর্মান মনে করেন, রুডল্ফের কাজ পুরো দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য রোল মডেল হতে পারে৷ রুডল্ফ কৃষকদের তাঁদের উদ্বৃত্ত শস্য দান করে দিতে সম্মত করাতে পেরেছেন৷ ফলে কৃষকরা সেটিই করছেন৷ এ কারণে কোনো কোনো দিন কয়েক টন সবজিও আসে৷ তারপর সেগুলো এভিয়ান পার্ক এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ‘স্যুপ কিচেন’-এ পাঠিয়ে দেয়া হয়৷
পরিস্থিতির আরও উন্নতি করতে এভিয়ান পার্ক এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বছর কয়েক আগে কৃষি অফিসের সঙ্গে মিলে সবজি বাগান গড়ে তোলা শুরু করেন৷ বর্তমানে এলাকায় এমন প্রায় ৪৫টি বাগান রয়েছে, যেখানে সদস্যরা সবজি চাষ করেন৷ যাঁদের প্রয়োজন পড়ে তাঁরা সেখান থেকে বিনামূল্যে সবজি সংগ্রহ করতে পারেন৷
২০১৫ সাল থেকে এই প্রকল্প চলছে৷ কাজের বিনিময়ে কোনো অর্থ পান না সদস্যরা৷ তবে উৎপাদিত শস্যের একটি অংশ পেয়ে থাকেন৷ রুডল্ফ ব়্যোশার বলেন, ‘‘এভিয়ান পার্ক এলাকার খাদ্য সমস্যা দূর করতে প্রথমে আমরা এলাকার বাসিন্দাদের দিয়েই তাঁদের নিজেদের জন্য খাবার ও শস্য উৎপাদনের চেষ্টা করেছিলাম৷ কিন্তু দ্রুতই আমরা বুঝতে পারি যে, সমস্যার সমাধানে এটাই যথেষ্ট নয়৷ তাই পরবর্তীতে আমরা বাণিজ্যিকভাবে কৃষিকাজ করেন এমন কৃষকদের সঙ্গে উদ্বৃত্ত শস্য দান প্রকল্প শুরু করি৷’’
বড় সুপারমার্কেটগুলোও এখন খাবার অপচয়ের বিষয়ে সচেতন হয়েছে৷ মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার ফেলে না দিয়ে উলওয়ার্থের মতো সুপারমার্কেট চেন বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে সেগুলো দান করে দিচ্ছে৷ খাবারের মান ঠিক রাখতে দোকানের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অংশ থেকে সরাসরি সেগুলো পাঠিয়ে দেয়া হয়৷
ইয়ুর্গেন স্নাইডার/জেডএইচ