1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাদ্য সুরক্ষায় ভারতের কোটা চায় বাংলাদেশ

২৩ ডিসেম্বর ২০২২

ভারত থেকে যে খাদ্যপণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ, তাতে কোটা চাওয়া হয়েছে। ভারত চাইলেই যাতে রপ্তানি বন্ধ করতে না পারে।

https://p.dw.com/p/4LLrb
টিপু মুনশি
ছবি: bdnews24.com

কোভিডের সময় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছিল ভারত। তার আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে এসে বলেছিলেন, তিনি অনুরোধ করেছেন, আগে থেকে না জানিয়ে, সময় না দিয়ে যেন কখনো যেন খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ না করা হয়। এবার তার থেকেও একধাপ এগিয়ে কোটা চাইলো বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে বাংলাদেশ। দিল্লিতে দুইদিনব্যাপী ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বৈঠকের প্রথম দিনেই এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

দিল্লির বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির। এছাড়াও দলে আছেন, দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহুবুবুল হক ও মো. হাফিজুর রহমান। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েলের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। শুক্রবারেও বৈঠক চলবে।

ভারতের কাছ থেকে চাল, ডাল, গম, পেঁয়াজ, আদা, রসুন বড় পরিমাণে আমদানি করে বাংলাদেশ। বছরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যপণ্য বাংলাদেশকে রপ্তানি করে ভারত। এমনিতে, এই রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো সমস্যা হয় না বলে ভারতীয় প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।

কিন্তু বিশেষ করে কোভিডকালে দেখা গেছিল, ভারত প্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশকে পাঠাতে চায়নি। পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ে একাধিকবার সমস্যা হয়েছে। বেশি দামে বাইরে থেকে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ চায় ভারত বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি কোটা সিস্টেম চালু করুক। অর্থাৎ, আগেই বিজ্ঞাপন দিয়ে বলে দেওয়া হবে, বাংলাদেশকে কত পরিমাণ পণ্য ভারত রপ্তানি করবে। ভুটান এবং মালদ্বীপের ক্ষেত্রে ভারতের এমন কোটা সিস্টেম আছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা চালু হলে, আচমকা ভারত রপ্তানি আটকে দিতে পারবে না।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই কথার পর তখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। বাণিজ্য বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে চাইছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।

এসজি/জিএইচ (প্রথম আলো, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র)