1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কয়লার ব্যবহার আবার বাড়ছে

১ ডিসেম্বর ২০২১

করোনার ধাক্কা সামলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবার গতি পাচ্ছে৷ কিন্তু তেল, গ্যাসের দাম বাড়ায় এবং শীতকাল আসায় অনেকদিন পর বিভিন্ন দেশে কয়লার চাহিদা বেড়েছে৷

https://p.dw.com/p/43gxY
Symbolbild Schornsteine Fabrik
ছবি: Charlie Riedel/AP/picture alliance

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে সদ্য সমাপ্ত জলবায়ু সম্মেলনের চুক্তিপত্রে কয়লার ব্যবহার ‘একেবারে শেষ' করার পরিবর্তে ‘কমানোর' কথা বলা হয়েছে৷ যদিও সম্মেলন শুরুর আগে সম্মেলনের প্রধান অলোক শর্মা কয়লাকে ‘ইতিহাসে জায়গা' করে দেয়ার আশা করেছিলেন৷ চুক্তিপত্রে এমন ভাষার ব্যবহার নতুন করে কয়লা উৎপাদনের জন্য একটি সবুজ সংকেত বলে সেই সময় মন্তব্য করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পরিবহনমন্ত্রী ম্যাট ক্যানাভ্যান৷

গ্লাসগো সম্মেলন শুরুর আগে ২০৩০ বা ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কয়লার ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে একধরনের ঐকমত্য দেখা গিয়েছিল৷ তবে বিশেষজ্ঞরা এখন স্বীকার করছেন, সম্মেলনের চুক্তিপত্রে কয়লার ব্যবহার কমানোর কথা ঐ লক্ষ্য পূরণে পানি ঢেলে দিতে পারে৷

অবশ্য চুক্তিপত্রের ভাষাকে কয়লার পুনর্জাগরণ বলতে নারাজ জলবায়ু থিংক ট্যাংক কার্বন ট্র্যাকারের গবেষণা প্রধান ক্যাথেরিনা হিলেনব্রান্ড ফন ডেয়ার নাইয়েন৷ বর্তমানে কয়লার চাহিদা আবার বাড়লেও সেটি বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে মনে করেন তিনি৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাম কম হওয়ায় বিশ্বব্যাপী কয়লা প্ল্যান্ট পরিচালনা আর লাভজনক হতে পারছে না বলে জানান তিনি৷

বার্লিনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ক্লাইমেট অ্যানালিটিক্সের গবেষক গৌরভ গান্তিও ফন ডেয়ার নাইয়েনের সঙ্গে একমত৷ তিনি মনে করেন, কয়লার বর্তমান চাহিদা বেশিদিন থাকবে না৷

করোনার পর অর্থনীতি পরিচালনায় চীন ও ভারত কয়লার উপর নির্ভর করলেও এটা সত্য যে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির পর কয়লাচালিত নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা ৭৬ শতাংশ কমেছে৷

২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী কয়লার বিনিয়োগের ৭৫ শতাংশই করেছে চীন৷ তবে গত সেপ্টেম্বরে তারা জানিয়েছে, নিজ দেশের বাইরে তারা আর কয়লায় বিনিয়োগ করবে না৷

গ্লাসগো সম্মেলন থেকে কয়লার ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে শক্ত কোনো অঙ্গীকার না এলেও বিভিন্ন দেশ এক্ষেত্রে তাদের আগের লক্ষ্যমাত্রা কয়েকবছর এগিয়ে আনছে৷ যেমন ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কয়লার ব্যবহার করা দেশ জার্মানির নতুন সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে৷ আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩৮ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে চেয়েছিল দেশটি৷

চলতি বছর জার্মানিতে কয়লার চাহিদা বেড়েছে৷ এর একটি কারণ বায়ু ও সৌরশক্তি উৎপাদনের জন্য অনুকূল আবহাওয়ার অভাব৷ তবে ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার অর্ধেক কমিয়েছে জার্মানি৷

চলতি সপ্তাহে পর্তুগাল জ্বালানি উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে৷ লক্ষ্যমাত্রার দুই বছরে আগেই কাজটি করলো তারা৷

অনেক বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা আরেক দেশ ইউক্রেন ২০৩৫ বা ২০৪০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে চায়৷

সাউথ আফ্রিকার মোট জ্বালানির ৯০ শতাংশ আসে কয়লা থেকে৷ ফলে আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গত করা দেশ তারা৷ জার্মানিসহ ইইউর কয়েকটি দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সাউথ আফ্রিকাকে কয়লার ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে৷

স্টুয়ার্ট ব্রাউন/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য