1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষুধাসূচকে আরো নিচে ভারত, মানছে না সরকার

১৩ অক্টোবর ২০২৩

সম্প্রতি বিশ্ব ক্ষুধা সূচক প্রকাশিত হয়েছে। ভারতের স্থান সেখানে আরো নিচে নেমেছে। সমীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারত।

https://p.dw.com/p/4XTvC
ক্ষুধাসূচকে আরো নিচে ভারত
ক্ষুধাসূচকে আরো নিচে ভারতছবি: DW

বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে ভারতের স্থান ছিল ১০৭ নম্বরে। এবছর তা আরো চার বেড়েছে। ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান এখন ১১১ নম্বরে। শিশুদের অপুষ্টির হারের দিক থেকেও ভারতের অবস্থা ভয়াবহ। দেশে শিশুদের অপুষ্টির হার ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। গোটা বিশ্বে যা সর্বোচ্চ। ভারতের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, যে পদ্ধতিতে এই সমীক্ষা হয়েছে তা ত্রুটিযুক্ত। ভারতের পরিস্থিতি এত খারাপ নয়। সমীক্ষাটি অভিসন্ধিমূলক বলেও দাবি করা হয়েছে।

সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির পরিস্থিতি ভারতের চেয়ে ভালো। পাকিস্তান আছে ১০২ নম্বরে। বাংলাদেশ ৮১ নম্বরে। নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ৬৯ এবং ৬০ নম্বরে। রিপোর্টের দাবি, ভারতে ১৬ দশমিক ছয় শতাংশ মানুষের যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর খাবার জোটে না। ১৫ থেকে ২৪ বছরের নারীদের মধ্যে ৫৮ দশমিক এক শতাংশ রক্তাল্পতায় ভোগেন। পাঁচ বছরের নীচে শিশু মৃত্যুর হার তিন দশমিক এক শতাংশ।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, মাত্র তিন হাজার স্যাম্পেল সাইজে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ফলে সমীক্ষাটি ত্রুটিপূর্ণ। গোটা দেশের পরিস্থিতি এখানে উঠে আসেনি। বস্তুত, কেন্দ্রের দাবি, এদেশে শিশু অপুষ্টির হার সাত দশমিক দুই শতাংশের নিচে। বহুদিন ধরেই এই পরিসংখ্যান আছে। ফলে নতুন রিপোর্টের বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই বক্তব্যের সঙ্গে অবশ্য সহমত নয় কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে, সরকারের অপারগতা স্পষ্ট হয়েছে রিপোর্টে। কেন্দ্র এখন সত্য ধামা চাপা দিতে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)