ক্ষমতায় গেলে ইরানে হামলা চালাবেন নেতানিয়াহু
১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯১৯৮০'র দশকে ওয়াশিংটনে ইসরায়েল দূতাবাসে উপ-প্রধান হিসেবে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত নেতানিয়াহু বেশ আড়ালেই ছিলেন৷ এসময় তিনি জেরুজালেমের একটি আসবাবপত্র কারখানায় মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন৷
কিছুদিন পরেই তাঁকে জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়৷ এসময় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং সাবলীল বক্তৃতার কারণে তিনি শুধু মার্কিন টেলিভিশনেই নয় বরং ইসরায়েলি জনগণের মাঝেও পরিচিতি লাভ করেন৷
এরপর ১৯৮৮ সালে লিকুদ পার্টির ব্যানারে সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করতে তাঁকে তেমন বেগ পেতে হয়নি৷ এ সংসদে তিনি প্রথমে উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পরে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে উপ-মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷
লিকুদ পার্টি ১৯৯২ এর নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হলে, নেতানিয়াহু তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ে জায়গা করে নেন৷
তিন সন্তানের জনক নেতানিয়াহু ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী৷
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু তিন ‘না'এর তত্ত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন – এগুলো হচ্ছে গোলান হাইট থেকে প্রত্যাবর্তন নয়, জেরুজালেমের ব্যাপারে কোন আলোচনা নয় এবং শর্তসাপেক্ষে কোন আলোচনা নয়৷
গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনে মঙ্গলবার ভোট দিচ্ছে ইসরায়েলিরা৷ দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের পদত্যাগের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷
মঙ্গলবারের নির্বাচনে ডানপন্থী লিকুদ পার্টির নেতা বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু'র সঙ্গে ওলমার্টের দল মধ্যপন্থী কাদিমা পার্টির প্রার্থী বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
প্রধান বিরোধী দল লিকুদ পার্টির নেতা বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এ নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল৷ কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেখা গেছে জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল কাদিমা পার্টির নেতা বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনি৷
এ নির্বাচনে ইসরায়েলের প্রায় ৫৩ লাখ ভোটার দেশের বিভিন্ন স্থানে নয় হাজার ভোট কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন৷
নির্বাচনের এক প্রচারাভিযানে কট্টর নেতানিয়াহু বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়ে দেশটির পরমাণু শক্তিধর হওয়ার আকাঙ্খা রুদ্ধ করে দেবেন তিনি৷ অবশ্য ভোটের বিবেচনায় নেতানিয়াহুর দলের এককভাবে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা কম৷
জরিপ ফলাফল অনুসারে বিজয়ী হলেও তাদের হয়তো লেবার পার্টির মতো উদারপন্থীদের নিয়ে নতুন একটি জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় যেতে হবে৷