ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা বাবা-ছেলেদের কথা

২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে খেলায় নেদারল্যান্ডস টিম ডি লিডি চার উইকেট নিয়েছিলেন৷ এরমধ্যে শচীন টেন্ডুলকারের উইকেটও ছিল৷ তার ছেলে বাস ডি লিডি (ছবি) এবার বিশ্বকাপ খেলছেন৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তিনিও চার উইকেট পেয়েছেন৷ ফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে চারটি করে উইকেট পাওয়া বাবা ও ছেলে হচ্ছেন তারা৷

ম্যানচেস্টারে জন্ম নেয়া ডন ১৯৫০-এর দশকে কেনিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন৷ সেখানে গিয়ে তিনি পূর্ব আফ্রিকার হয়ে ১৯৭৫ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলেন৷ তার ছেলে ডেরেক (ছবি) ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ খেলেছেন৷ ১৯৯২ সালের ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি ৩ উইকেট নিয়েছিলেন৷

বাবা ল্যান্স ১৯৭৫, ১৯৭৯ ও ১৯৮৩ বিশ্বকাপ খেলেছেন৷ আর ছেলে ক্রিস (ছবি) খেলেছেন চারটি বিশ্বকাপে- ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯ ও ২০০৩ বিশ্বকাপে৷ ২১৫টি একদিনের ম্যাচ খেলে ক্রিস ৪,৯৫০ রান করেছেন, উইকেট নিয়েছেন ২০১টি৷

১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে খেলেছিলেন রড ল্যাথাম৷ তার ছেলে টম (ছবি) এবার আছেন নিউজিল্যান্ড দলে৷

জিম্বাবুয়ের হয়ে ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ বিশ্বকাপ খেলেন কেভিন কারেন৷ ৮৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ৭৩, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৬২ রান করেছিলেন৷ তার ছেলে স্যাম (ছবি) এবার বিশ্বকাপ খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে৷

ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৮৭ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন ক্রিস ব্রড৷ তবে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে তিনটি শতক হাঁকিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান তিনি৷ তার ছেলে স্টুয়ার্ট (ছবি) ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছেন৷ তিনি টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার৷ খেলা শেষে ক্রিস আম্পায়ারিং করেছেন৷ ২০২০ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট চলাকালীন ‘অশালীন ভাষা’ ব্যবহার করায় ছেলেকে শাস্তি দিয়েছিলেন ক্রিস৷

১৯৮৭ সালে বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন জিওফ মার্শ৷ তার এক ছেলে শন মার্শ ২০১৯ বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচে খেলেছেন৷ আরেক ছেলে মিচেল মার্শ (ছবি) এবার বিশ্বকাপ খেলছেন৷