ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার যারা
অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়া দুই ভাই এনু ও রূপনের গ্রেপ্তারে গত বছর বাংলাদেশে তুমুল আলোচনায় থাকা ক্যাসিনোকাণ্ড আবারও সামনে চলে এসেছে৷ এ পর্যন্ত ক’জন গ্রেপ্তার হলেন ক্যাসিনোকাণ্ডে? দেখুন ছবিঘরে...
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া
গত ১৮ সেপ্টেম্বরে ঢাকায় ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম গ্রেপ্তার হন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া৷ ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন তিনি৷
জি কে শামীম
ক্যাসিনোকাণ্ডে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তারের দুই দিন পর যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে দুদক৷
লোকমান হোসেন ভূঁইয়া
ক্যাসিনোকাণ্ডে ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া৷ তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে৷
সেলিম প্রধান
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অনলাইনে জুয়ার কারবারি সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তিনি ‘প্রধান গ্রুপ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান৷ ওই গ্রুপের অধীনে ‘পি২৪ গেমিং’ নামের একটি কোম্পানি আছে, যারা রীতিমতো ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়ে ক্যাসিনো ও অনলাইন ক্যাসিনোর কারবার চালিয়ে আসছিল৷
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নাম আলোচনায় চলে আসে৷ যদিও সম্রাট বিপদ বুঝে পালিয়ে গিয়েছিলেন৷ মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ক্লাবে জুয়ার বিশাল সম্রাজ্য গড়ে তোলা সম্রাটকে ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
এনামুল হক আরমান
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাটের সঙ্গেই গ্রপ্তার হন তার সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমান৷
দুই ভাই এনু ও রূপন
গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রূপন ভূঁইয়াকে গত ১৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি৷ অবৈধ ক্যাসিনো কারবারে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা করেছে দুদক৷
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান
গতবছর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়৷ পরে দেশজুড়ে অভিযান চলে৷ দুদক শুরুতে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত তালিকায় প্রায় ১০০ জনের নাম এসেছে বলে জানায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম৷ প্রতিদিনই এই তালিকায় নতুন নাম যুক্ত হচ্ছে৷
মামলা
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৮৭ জনের উপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু তাদের নাম বা বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি৷ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুদক ২২ জনের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা করেছে৷