ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি, মৃত্যু বেড়ে ২৪
১৩ জানুয়ারি ২০২৫রোববার দমকলকর্মীরা পাঁচটি জায়গায় আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
এনবিসি-র মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে ক্যাফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম জানিয়েছেন, এই দাবানল মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে।
তিনি বলেছেন, এই আগুন নেভাতে গিয়ে যা খরচ হচ্ছে এবং যে পরিমাণ চেষ্টা করতে হচ্ছে, তা আগে কখনো হয়নি।
গভর্নর জানিয়েছেন, পুড়ে যাওয়া শহরকে গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস ২.০ গড়ে তোলার জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছে।
মোট পাঁচটি দাবানল
লস অ্যাঞ্জেলেসে মোট পাঁচটি দাবানল জ্বলছে। তার মধ্যে প্যালিসেডে দমকলকর্মীরা দাবানলকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু জোরালো হাওয়ার কারণে তা পূর্বদিকে আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির সুপারভাইসর লিন্ডসে হরভা জানিয়েছেন, ''লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির মানুষ আরেকটি নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছেন।''
ক্যালিফোর্নিয়ার দমকল কর্মকর্তা টড হপকিন্স জানিয়েছেন, ''দাবানলের আগুন এখন ব্রেন্টউডে চলে যেতে পারে।'' এই বিলাসবহুল এলাকায় অনেক বিখ্যাত মানুষের বাস। গেটি সেন্টার ও এইসিএলএ ক্যাম্পাসও কাছেই।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, এবার ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ফলে আগুন আরো কয়েকদিন ধরে জ্বলবে। অন্তত চলতি সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত তা জ্বলবে বলে জানানো হয়েছে। আরো নতুন এলাকা দাবানলের গ্রাসে পড়তে পারে।
নিখোঁজ অন্তত ১৬ জন
দাবানলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪। নিখোঁজ অন্ততপক্ষে ১৬ জন।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা রোববার জানিয়েছেন, ইটনে ১২ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। প্যালিসেডে চারজন নিখোঁজ।
লুনা জানিয়েছেন, নিখোঁজের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এই নিখোঁজ মানুষরা বেঁচে আছেন কি না তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।
শেরিফের দপ্তরের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপে প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে খোঁজ করেছেন।
বিষাক্ত ধোঁয়া বিপদের কারণ
লস অ্যা়ঞ্জেলেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যে সব বাসিন্দাকে এখনো উদ্ধার করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়নি, তারা যেন ঘরের ভিতরে থাকেন। কারণ, দাবানলের ফলে বিষাক্ত হাওয়া ছড়াচ্ছে। বিষাক্ত মেঘও তৈরি হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তা আনিশ মহাজন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, ধোঁয়া পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তার মধ্যে গ্যাস, বাস্প ও ছোট কণা আছে। ওই ছোট কণা নাক ও গলায় গিয়ে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেছেন, বায়ুদূষণ প্রবল মাত্রায় হচ্ছে। তাই মানুষ যেন ঘরে থাকেন।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)