1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেরালায় ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৩, এখনো অনেকে আটকে

৩১ জুলাই ২০২৪

কেরালার ওয়ানাড়ে ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬৩। আহত ১৮৬ জন। এখনো কয়েকশ মানুষ আটকে পড়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

https://p.dw.com/p/4iwQU
ওয়ানাড়ে সেনা জওয়ানরা দড়ি বেঁধে জল পেরিয়ে দুর্গত এলাকায় পৌঁছাচ্ছেন।
কেরালার ওয়ানাড়ে এভাবেই দুর্গত এলাকায় পৌঁছাতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। ছবি: PRO Defense Kochi/AP/picture alliance

ভারতীয় সেনা, বিমান বাহিনী, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ মিলে ওয়ানাড়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। উদ্ধারকারীদের ধারণা, এখনো কয়েকশ মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

মঙ্গলবার মেপ্পাডির পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির পর ব্যাপক ধস নামে। সেই ধসের ফলে বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। গাড়ি ভেসে গেছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় গাছপালা, রাস্তাঘাট, সেতু ধ্বংস হয়েছে। চারদিকে কাদামাটির স্রোত বইছে।

উদ্ধারকারীরা প্রায় এক হাজার জনকে উদ্ধার করেছেন।

ভারতীয় সেনা উদ্ধারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। এনডিআরএফ, সরকারি প্রশাসন, রাজ্যের উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রায় তিনশ জন সেনা উদ্ধারের কাজ চালাবেন। আরো ১৪০ জনকে স্ট্যান্ড বাই হিসাবে রাখা হয়েছে। একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু নতুন করে গড়ে তুলবে সেনার বিশেষ দল। সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ সেনার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই অফিসার আকাশপথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তারপর তারা প্রশাসনের সঙ্গে বসে আলোচনা করে পরবর্তী পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবেন। কোঝিকোড়ে সেনা একটি কম্যান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার গড়ে তুলেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, তিনি বুধবার দুর্গত এলাকায় পৌঁছাবেন। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ৪৫টি ত্রাণশিবির তৈরি করেছে। সেখানে তিন হাজার ৬৯জনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

ওয়ানাড়ে বাড়ি, গাড়ি সবই ভেসে গেছে ধসের ফলে।
ওয়ানাড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় শুধু ধ্বংশের ছবি। ছবি: AP/dpa/picture alliance

আবহাওয়ার পূর্বাভাস

মঙ্গলবারও ওয়ানাড়ে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওয়ানাড় ও উত্তর কেরালায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কেরালায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

উপদ্রুত এলাকায় সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। মোট ১১টি জেলায় স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী সি এম বিজয়ন জানিয়েছেন, খুব দরকার না হলে কেউ যেন ওয়ানাড় না যান। তিনি দুইদিনের সরকারি শোকপালনের ঘোষণাও করেছেন। এই সময় কেরালায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। কোনো সরকারি উৎসব বা উদযাপন হবে না।

কেরালা ব্যাংক ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণতহবিলে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী দুই কোটি ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ কোটি টাকা দেয়ার কথা জানিয়েছেন।

ওয়ানাড়ে দুর্গত এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা।
ওয়ানাড়ে বৃষ্টি ও ধসের পরের ছবি। ছবি: CK Thanseer/REUTERS

রাহুল যেতে পারলেন না

ওয়ানাড়ের সাবেক সাংসদ ও বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী বুধবার ওয়ানাড় যেতে চেয়েছিলেন। রাহুল জানিয়েছেন, ''কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন, ওয়ানাড়ে আবহাওয়া খুবই খারাপ। সমানে বৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় তার পক্ষে ওয়ানাড় যাওয়া সম্ভব হবে না।''

রাহুল বলেছেন, ''আমি ওয়ানাড়ের মানুষকে জানাতে চাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি সেখানে যাব। ইতিমধ্যে আমি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছি। এই কঠিন সময়ে আমি ওয়ানাড়ের মানুষের পাশে আছি।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)