1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেমন হবে ইস্টার, দ্বিধায় জার্মানি

৮ এপ্রিল ২০২০

১২ এপ্রিল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ইস্টারের দিন৷ কিন্তু এবছর করোনা সংক্রমণ রুখে দিতে গির্জার বদলে বাসা থেকেই এই উৎসবের প্রার্থনায় সামিল হওয়া নিয়ে উঠছে আলোচনা৷

https://p.dw.com/p/3adOz
ছবি: Reuters/K. Pfaffenbach

জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের গতি থামিয়ে দিতে নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি জরুরি পদক্ষেপ৷ এরমধ্যে অন্যতম হলো গির্জার মতো যে কোনো জনবহুল স্থানে জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷ এর ফলে খ্রিস্টানদের উৎসব ইস্টার পালনে আনা হবে কিছু বদল৷

কিন্তু এই বদল দু'একটি গোষ্ঠীর মনমত না হওয়ায় তারা আদালতের দ্বারস্থ হন৷ ইস্টার উদযাপনে গির্জায় সমবেত হতে চেয়ে আদালতের কাছে আর্জি জানালেও তা গ্রহণ করা হয়নি৷ জার্মানির বার্লিন ও হেসেন প্রদেশের আদালত দেশের ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট ধারার পাদ্রীদের সাথে সুর মিলিয়ে নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই রায় দেন৷

জার্মানির প্রোটেস্টান্ট গির্জার প্রধান হাইনরিশ বেডফোর্ড-স্ট্রোম বলেন যে এই মূহুর্তে মানুষের জীবন রক্ষা করাই হোক একমাত্র নীতি নির্ধারক৷ অন্যদিকে, ক্যাথলিক বিশপ রুডলফ ফোডেরহোলৎজার এই পরিস্থিতিতেও যারা জমায়েতের পক্ষে তাঁদের প্রশ্ন করেন, যে আসলেই তারা এই মারণব্যাধির দ্রুত সমাধান চান কি না৷

করোনার মধ্যেও যেভাবে হবে ইস্টার

পরিবর্তিত পরিস্থতি যেমনই হোক না কেন, তা ইস্টারের আবহাওয়া নষ্ট করতে পারবেনা, এমনটাই মত বেডফোর্ড-স্ট্রোমের৷ তিনি বলেন, ‘‘টেলিভিশনে গির্জার প্রার্থনা সরাসরি সম্প্রচার করে হোক, বা ইন্টারনেটে এমনকি টেলিফোনের মাধ্যমেই হোক না কেন, ইস্টারের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছাবেই৷''

মঙ্গলবার বার্লিনের প্রশাসনিক আদালতে এবিষয়ের একটি আর্জি খারিজ করা হয়৷ সেখানে একটি বিশেষ ক্যাথলিক গোষ্ঠী ৫০ জনের জমায়েতের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল৷ কিন্তু মঙ্গলবার তা নাকচ করে দেওয়া হয়৷ বিচারকেরা বলেন, বার্লিনে প্রযোজ্য করোনা-নীতি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মীয় চর্চার সাথে সাংঘর্ষিক নয়৷ এর আগে, জার্মানির হেসেন ও স্যাক্সনি অঞ্চলেও এমন আবেদন খারিজ হওয়ার উদাহরণ রয়েছে৷

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দ্বিধায় সংবাদমাধ্যম

ধর্মীয় জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম কিছুটা হলেও বিভক্ত৷ রাইনিশে পোস্ট সংবাদপত্রের সংবিধান-বিশেষজ্ঞ হোর্স্ট ড্রায়ার এই ধরনের নিষেধাজ্ঞাকে কিছুটা হলেও সমস্যাজনক বলে মনে করেন৷ তাঁর মতে, অনলাইনে প্রার্থনা গির্জায় গিয়ে প্রার্থনার বিকল্প নয়৷ পাশাপাশি, গির্জা অনেকের কাছে মানসিক শান্তির একটা জায়গা, যা হয়তো বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকের প্রয়োজন হতে পারে৷

টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব পিটার হানের প্রশ্ন কিছুটা ভিন্ন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিয়ার বা অন্যান্য পানীয়ের দোকান খোলা রয়েছে, কিন্তু গির্জা বন্ধ? এটা কীভাবে যৌক্তিক?'' একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হান এই নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন ও একে খ্রিষ্টান আচারের মূলে আঘাত করার সাথে তুলনা করেছেন৷

পিটার হানের এই মন্তব্যকে ‘বেপরোয়া' আখ্যা দিয়েছেন হেসেন অঞ্চলের প্রোটেস্টান্ট ডায়োসিজের সভাপতি ফোলকার ইউং৷ রবার্ট কখ ইন্সটিটিউট, যারা এই মূহুর্তে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের সব খবরের মূল সূত্র, তারাও নিশ্চিত করেছেন যে গির্জায় প্রার্থনা বন্ধ রাখলেই সেখান থেকে সংক্রমণ ঠেকানো যেতে পারে৷

এসএস/কেএম (কেএনএ, ইপিডি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান