1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি শিশু যৌন নির্যাতনের ছবি বাড়ছে

২৩ জুলাই ২০২৪

সত্যিকারের ভুক্তভোগী এবং অপরাধীদের ধরা আরো কঠিন করে তুলেছে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’৷ পাশাপাশি আসল মানুষদের আদলে নকল কিছু তৈরিতে ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও জানিয়েছে ইউরোপোল৷

https://p.dw.com/p/4icmv
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধও করা হচ্ছে৷
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে শিশু যৌন নিপীড়নের ছবি তৈরির অভিযোগ উঠেছেছবি: Bihlmayerfotografie/Imago

ইউরোপে পুলিশের সংস্থা ইউরোপোল সোমবার সতর্ক করে জানিয়েছে যে, অনলাইনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি শিশুদের যৌন নির্যাতনের ছবির হার অনেক বেড়ে গেছে৷

‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি শিশু যৌন নির্যাতনের উপাদানের বিভিন্ন ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে,'' হেগভিত্তিক সংস্থাটি নতুন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে৷ 

‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা ব্যবহার করে শিশু যৌন নিপীড়করা শিশুদের যৌন নির্যাতনের উপাদান তৈরি বা পরিবর্তন করতে পারছেন সেসবের ব্যবহার ভবিষ্যতে আরো প্রসারিত হতে পারে,''  ইউরোপে ডিজিটাল হুমকি নিয়ে ৩৭ পাতার এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে সংগঠনটি৷

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ছবির কারণে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের সনাক্তও আরো কঠিন হয়ে পড়েছে৷

গত মে মাসে যুক্তরাজ্যের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে বছরে ত্রিশ কোটি শিশু অনলাইনে কোন না কোনভাবে যৌন শোষণের শিকার হচ্ছে৷

গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনলাইনে শিশু নিপীড়নে এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে আসল মানুষের আদলে নকল কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে৷

‘‘এমনকি যেসব ঘটনায় পুরোপুরি কৃত্রিম কনটেন্ট তৈরি করি হয়েছে এবং সত্যিকারের কোনো ভুক্তভোগী সেখানে নেই, সেসবের ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিশুদের অবমাননায় এবং তাদেরকে যৌন বস্তু হিসেবে দেখানোয় ভূমিকা রাখছে,'' জানিয়েছে ইউরোপোল৷

এআই/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)