কিছু গাছপালা, প্রাণী এবং মানুষেরও বিলুপ্তির আশঙ্কা!
অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এ সময় প্রাণী এবং গাছপালা বিলুপ্ত হচ্ছে দ্রুত গতিতে৷ এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য৷ ছবিঘরে থাকছে এমন কিছু প্রাণী আর গাছপালার কথা, যেগুলো খুব তাড়াতাড়িই হয়ত পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে৷
বিলুপ্তির মাত্রা ১০০ গুণ বেশি
যুক্তরাষ্ট্রের এই কালো ভালুক আর কতদিন দেখা যাবে কে জানে? এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত শতকে জীববৈচিত্র কমেছে আগের চেয়ে প্রায় একশ’ গুণ বেশি হারে৷ বৃদ্ধির কারণ মানুষ৷ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে প্রকাশিত এক যৌথ প্রতিবেদনে বলেছে, বণাঞ্চলে মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাওয়ার কারণেই উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বিলুপ্তি দ্রুততর হচ্ছে৷
তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে
সম্প্রতি দ্য ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন ইউনিয়ন (আইইউসিএন) বিশ্বের ৪১ ভাগ উভচর এবং ২৬ ভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীই এখন চিরবিলুপ্তির ঝুঁকির সামনে৷ ছবির এই টিটিকাকা নামের বিশাল ব্যাঙগুলো এক সময় পেরু এবং বলিভিয়ার হৃদগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে দেখা যেত৷ এখন খুব কম দেখা যায় এদের৷ কয়েক বছর পর হয়ত এই ধরণের ব্যাঙ শুধু ছবিতেই থাকবে৷
মানুষই দায়ী
গত ৪০ বছর ধরে মানুষ প্রতি মিনিটে গড়ে অন্তত ২ হাজার করে গাছ কাটছে৷ তাহলে প্রতিদিন বিশ্বের বনাঞ্চল থেকে কী হারে গাছ কমছে ভেবে দেখুন! এর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ এবং উষ্ণায়নও নানাভাবে বাড়াচ্ছে মানুষ৷ এ সব বিষয় উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বিলুপ্তিতে বড় ভূমিকা রাখছে৷
বিপন্ন মানবজাতি
মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক জেরার্ডো সেবালোস মনে করেন, সতর্ক না হলে অনুমানের চেয়ে বেশ আগে মানুষও বিলুপ্ত হতে পারে৷ কিছু প্রাণীর সঙ্গে মানুষের অস্তিত্ব নির্ভরশীল – এ কথা বলে মৌমাছির উদাহরণ দিয়েছেন তিনি৷ মৌমাছি হারিয়ে গেলে অনেক রকমের খাবা তৈরি করা সম্ভব হবে না৷ ফলে একসময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে৷ দুর্ভিক্ষে অনেক মানুষ মারা গিয়ে মানবজাতির বিলুপ্তিকে ত্বরান্বিত করতে পারে৷
‘দ্বিগুণ চেষ্টা করুন’
যৌথভাবে রচিত প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বিলুপ্তির হাত থেকে কিছু গাছপালা, প্রাণী এবং সর্বোপরি মানুষকেও বাঁচাতে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাঁরা মনে করেন, এখন থেকে সতর্ক এবং সজাগ হলে বিলুপ্তি অনেকটাই বিলম্বিত করা সম্ভব৷