কাশ্মীরে উড়ছে ভারতের পতাকা
সংস্কৃতি, ইতিহাস, রাজনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে স্বকীয়তা নিয়ে থাকা জম্মু-কাশ্মীরে উড়ছে ভারতের জাতীয় পতাকা৷ বলা হচ্ছে, ভাষা, ধর্ম ও বর্ণে এই অঞ্চলে যে বৈচিত্র্য, সেটাকে পুঁজি করেই জম্মু-কাশ্মীরও লাদাখকে করা হয়েছে কেন্দ্রশাসিত৷
বাতিলে বদল
ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিকভাবে কাশ্মীরের যে অনন্য চরিত্র, তা ৩৭০ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে বদলে ফেলা যাবে কি না তানিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা৷ কারণ জম্মু ও কাশ্মীরের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং রাজনীতি ভারতের অন্য অঞ্চলের থেকে একেবারেই আলাদা৷
বহু ভাষার মিশ্রণ
কাশ্মীরের উপত্যকা ও পাকিস্তানি অঞ্চলের বেশিরভাগ মুসলিম উর্দু ও কাশ্মীরি ভাষায় কথা বলেন৷ জম্মুর পশ্চিমাঞ্চলে মুসলিম ও পূর্বে বসবাসকারী হিন্দুদের ভাষা হিন্দি, পাঞ্জাবি ও ডোগরী৷ আর লাদাখের বৌদ্ধরা কথা বলেন লাদাখি ভাষায়৷
ধর্মীয় বৈচিত্র্য
কাশ্মীরে থাকেন মুসলিম, পন্ডিত ও শিখরা; জম্মুতে হিন্দু-মুসলিম এবং লাদাখে বৌদ্ধ ও মুসলিমরা বসবাস করায় এই অঞ্চলে ছিল ধর্মীয় বৈচিত্র্য৷
খাবার-পোশাকেও ভিন্নতা
জম্মু ও কাশ্মীরীদের জীবনযাত্রা ভারতের অন্য রাজ্যের মানুষের থেকে ভিন্ন৷ তারা যে খাবার খান, যেসব পোশাক পরেন সেগুলোর রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য৷ আর লাদাখের জনগণ অনুসরণ করেন তিব্বতীয়দের৷
‘কাশ্মীরিয়াত’
মুসলিম, হিন্দু, শিখ ও বৌদ্ধের ধর্মীয় এবং নিজস্ব সামাজিক রীতি জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখে ভিন্নধর্মী একটি সম্মিলিত সংস্কৃতি তৈরি করেছে, যাকে ‘কাশ্মীরিয়াত’ হিসেবে অভিহিত করা হয়৷
ক্ষোভ
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লাদাখকে আলাদা করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে করা হয়েছে কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চল৷ তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে ফুঁসে উঠেছেন কাশ্মীরের জনগণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা শিথিল হলেই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন তারা৷
নতুন আশা
‘৩৫এ’ ধারা বাতিল হওয়ায় জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে যে কেউই এখন সম্পত্তি কিনতে পারবেন৷ এই দুই অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা না হলেও করা যাবে সরকারি চাকরির আবেদন৷ সংখ্যালঘু সংরক্ষণ আইনের সুবিধার পাবেন কাশ্মীরে সংখ্যালঘুরা এবং কার্যকর হবে তথ্য অধিকার আইন৷