1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতার প্রস্তাব, খারিজ ভারতের

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পর এ বার কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস৷  ভারত অবশ্য এই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3XsF8
ছবি: Getty Images/AFP/R. Bakshi

প্রথমে ডনাল্ড ট্রাম্প, তারপর আন্তোনিও গুতেরেস কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গুতেরেস বলেছেন, দুই পক্ষ যদি চায়, তা হলে তিনি মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত৷ গুতেরেসের প্রস্তাব ভারতের পক্ষে অস্বস্তিকর৷ কারণ, তিনি কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার কথা বললেন এবং সেটাও বললেন পাকিস্তানে৷

ভারত অবশ্য গুতেরেসের এই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দিয়েছে৷ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার জানিয়েছেন, ''জম্মু ও কাশ্মীরনিয়ে নয়াদিল্লির অভিমত আগেও যা ছিল, এখনও তাই আছে। ভবিষ্যতেও বদলাবে না। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এ নিয়ে তৃতীয় কোনও পক্ষের মধ্যস্থতার প্রশ্নই ওঠে না। পাকিস্তান বেআইনিভাবে ও জোর করে কাশ্মীরের একটা অংশ দখল করে আছে। ফয়সালা তো সেই ব্যাপারে হওয়া দরকার৷ এর বাইরে কাশ্মীর নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে তা দুই দেশ আলোচনা করে মিটিয়ে নেবে। তার জন্য তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই৷''

অতীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন৷ প্রতিবারই ভারতের তরফে একই কথা জানানো হয়েছে৷ তবে এ বার জাতি সংঘের মহাসচিব মধ্যস্থতার ইচ্ছে প্রকাশ করায় বিষয়টির গুরুত্ব আরও বেড়ে গেল। ভারতের উপরেও চাপ তৈরি হল। রবিশ বলেছেন, ''পাকিস্তান যাতে সন্ত্রাস বন্ধের ক্ষেত্রে উপযুক্ত, দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেয়, সেটা নিশ্চিত করুন মহাসচিব৷ সীমান্তপারের সন্ত্রাসে ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে৷'' 

গুতেরেস অবশ্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কুরেশির সঙ্গে বৈঠক করার পর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে তিনি খুই উদ্বিগ্ন৷ 

ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই সংযত থাকতে হবে, উত্তেজনা কমাতে হবে, কথার লড়াই থামাতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও সুস্থিতির জন্য দুইটি হাতিয়ার রয়েছে, আলোচনা ও কূটনীতি৷ দুই দেশ তাই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমর-সম্ভার কম করুক৷

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান কারও অজানা নয়, তা সত্ত্বেও বারবার কেন এই মধ্যস্থতার কথা বলা হচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''এর কারণ হল, পাকিস্তান বারবার বিষয়টি জাতিসংঘেরবৈঠকে তোলার চেষ্টা করছে। তাদের বন্ধু দেশগুলিরও সাহায্য আদায় করছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফল হয়নি। ভারতের বরাবরের অবস্থান হল, জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখ নিয়ে মধ্যস্থতার প্রশ্নই নেই৷ পাকিস্তান যে কাশ্মীরের কয়েক হাজার কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে সেটা তাদের খালি করতে হবে। আর পাকিস্তান চাইলেও মধ্যস্থতা হবে না। কারণ, ভারত রাজি হবে না৷ ফলে ওদের প্রচেষ্টা নিষ্ফলাই থেকে যাবে।''

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)

গত আগস্টের ছবিঘরটি দেখুন...