1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলম্বিয়ায় বিক্ষোভ, গুলি, মৃত ১০

১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

পুলিশি হেফাজতে এক ট্যাক্সি চালকের মৃত্যু হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে কলম্বিয়ায় বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ। মৃত অন্তত ১০ জন।

https://p.dw.com/p/3iJN6
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/S. Barros

পুলিশি নির্যাতনে ট্যাক্সি চালক জেভিয়ার অর্ডোনেজের মৃত্যুর পরেই কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় বিক্ষোভকারীদের ঢল। আর তাঁদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলল রাতভর। তাতেই মারা গেলেন ১০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনের মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। 

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ট্যাক্সি চালক বারবার পুলিশের কাছে অনুনয় করছেন, আর পুলিশ অন্তত পাঁচবার তাঁকে ইলেকট্রিক শক দিয়েছে। তাঁকে প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর দেহে বড় কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পরিবারের দাবি, পুলিশের অত্যাচারে জেভিয়ার মারা গেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ট্যাক্সি চালক একদল লোকের সঙ্গে অনেক রাত পর্যন্ত মদ খাচ্ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে খুবই দুর্ব্যবহার করেন।  কিন্তু তাঁকে এর জন্য কেন মারা হলো, তার ব্যাখ্যা পুলিশ দেয়নি।

Proteste gegen Polizeigewalt in Kolumbien
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/S. Barros

কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে। বোগোটার মেয়রের দাবি, অ্যাটর্নি জেনারেলকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। কারণ পুলিশি তদন্তে কোনো ভরসা নেই মৃতের পরিবারের।

জেভিয়ারের মৃত্যুর খবর আসার পর শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ। মেয়র জানিয়েছেন, মোট ৩২০ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ১৪৭ জন পুলিশ কর্মী। কিন্তু পুলিশ যে ভাবে বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করেছে, তাতে প্রবল ক্ষুব্ধ তিনি। মেয়র বলেছেন, পুলিশকে কেউ গুলি চালানোর অনুমিত দেয়নি। তা সত্ত্বেও পুলিশ অনেক জায়গায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে।

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সকলে যেন বাড়িতে থাকেন। রাতে রাস্তায় না নামেন। শহরে আরো দেড় হাজার পুলিশ ও ৩০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আবার বিক্ষোভের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি)