1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতায় বাংলাদেশ উৎসব

শীর্ষ বন্দোপাধ্যায়১৬ ডিসেম্বর ২০০৮

কলকাতায় বসে পদ্মার ইলিশ৷ খাস ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি, টাঙ্গাইলের চমচম৷ ঢাকাই জামদানি আর হুমায়ুন আহমেদের সদ্য লেখা বই৷ দুর্লভ এসব মহার্ঘ বাঙালি পশরা এক আঙিনায়৷ সৌজন্য কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাই কমিশন৷

https://p.dw.com/p/GH3E
এই বাংলাদেশ উৎসবের একটা বড় আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (ফাইল ফটো)ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

পেটুক বাঙালি, রসিক বাঙালি, শৌখিন বাঙালি-র জন্য এমন মনোগ্রাহী আয়োজন শহর কলকাতায় শেষ কবে হয়েছে স্মরণে পড়ে না৷ শুরু হয়েছে ডিসেম্বরের ১২ তারিখ, শেষ ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় উৎসব উদযাপনের মধ্য দিয়ে৷ কিন্তু ক্ষিদেটা বাড়িয়ে দিয়ে গেল কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাই কমিশন আয়োজিত পাঁচদিনের বাংলাদেশ উৎসব৷

ঢাকার বিখ্যাত কাচ্চি বিরিয়ানি ৮০ টাকা প্লেট৷ ভুনা খিচুড়ি, সঙ্গে ইলিশ মাছ ১০০ টাকা৷ পদ্মার ইলিশ কিনে বাড়ি নিয়ে গেছেন অনেকেই, পছন্দমত রেঁধে খাবেন বলে৷ নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত সব মিষ্টি৷ আর তার পাশাপাশি টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি থেকে মহার্ঘ ঢাকাই জামদানি, দুর্লভ নকশি কাঁথা, সবকিছুর বিচিত্র সম্ভার ছিল বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনের চত্বরে এই আনন্দ উৎসবে৷

কলকাতায় এ ধরনের উৎসব এই প্রথম৷ নব নিযুক্ত উপ হাই কমিশনার সৈয়দ মাসুদ মহম্মদ খোন্দকার জানালেন, রমজান মাস থাকায় প্রতি বছরের মত শারদ উৎসব এবছর হতে পারেনি৷ তাই ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় উৎসবের আগে আরও চারটে দিন যোগ করে এই বিশেষ আয়োজন৷

এই বাংলাদেশ উৎসবের একটা বড় আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ যে অনুষ্ঠানের সারা অঙ্গে জড়িয়ে ছিল পল্লীগ্রামের সুবাস৷ লালন ফকিরের গান, ভাটিয়ালি, জারি গান, সারি গান, যেন ব্যস্ত শহরজীবনে এনে দিল এক ঝলক টাটকা বাতাস৷ উপ হাই কমিশনার খোন্দকার জানালেন, দায়িত্বে আসার পর এ শহরে অনেকেই তাঁকে অনুরোধ করেছেন, অনুযোগ করেছেন যে লোকগীতি শোনার সুযোগ বড় একটা হয় না৷ যদি হত, তবে বড় ভাল হত. সেই চাহিদা মেটাতেই এই ভিন মেজাজের আয়োজন৷

পাঁচ দিন বড় কম সময়. তবু সেটাই বা কম কী৷ এ শহরের মানুষজনের এখন একটাই আর্জি. প্রতি বছর কি ফিরে আসতে পারে না বাঙালিয়ানার উৎসবের এমন পাঁচটা দিন?