1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার টিকা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মানুষ

২ মার্চ ২০২১

ইউরোপে টিকার ঘাটতি নিয়ে ক্ষোভ সত্ত্বেও অনেক মানুষ সুযোগ পেয়েও টিকা নিতে নারাজ৷ অ্যাস্ট্রাজেনিকা টিকার ভাবমূর্তির সমস্যার কারণে টিকাদান কর্মসূচি সংকটের মুখে পড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3q5Gq
অ্যাস্ট্রাজেনিকা টিকার ভাবমূর্তির সমস্যার কারণে টিকাদান কর্মসূচি সংকটের মুখে পড়ছেছবি: Stephane Mahe/REUTERS

টিকা কেনা ও বণ্টনের ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার অভিযোগের মুখে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ সমালোচকদের মতে, ব্রাসেলস ঠিক সময়ে, সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ও যথেষ্ট  দক্ষতার সঙ্গে করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিলে আজ এমন ঘাটতি দেখা যেত না৷ সেই সঙ্গে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ অর্থাৎ যে টিকা হাতে এসে গেছে, সেগুলিও অনেক ক্ষেত্রে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না৷ তার উপর নানা কারণে অ্যাস্ট্রাজেনিকা কোম্পানির টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ও সংশয়ের ফলে অনেক মানুষ সুযোগ পেয়েও সেই টিকা নিতে অস্বীকার করছেন৷

জার্মানি ও ফ্রান্স অ্যাস্ট্রাজেনিকা টিকার নেতিবাচক ভাবমূর্তি দূর করে মানুষকে সেটির কার্যকরিতা বোঝানোর চেষ্টা করছে৷ দুই দেশের সরকারই বার বার আশ্বাস দিচ্ছে, যে ফাইজার-বায়োনটেক ও মডার্না কোম্পানির টিকার মতোই অ্যাস্ট্রাজেনিকা অত্যন্ত কার্যকর৷ ফ্রান্সে কোনো জটিলতা ছাড়াই সরাসরি ডাক্তারের চেম্বারে এই টিকা দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ অথচ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত দেওয়া প্রায় ১৭ লাখ টিকার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনিকার অনুপাত ছিল মাত্র ২৭৩,০০০৷ ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার থেকে এমনকি ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষের জন্যও অ্যাস্ট্রাজেনিকা টিকার ছাড়পত্র দিচ্ছে৷ সংশয় কাটাতে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পেশায় ডাক্তার ওলিভিয়ে ভেরঁ টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে এই টিকা নিয়েছেন৷

জার্মানিতে টিকা সংকট কাটাতে সব মানুষের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনিকা টিকা নেবার সুযোগ দেবার প্রস্তাব শোনা যাচ্ছে৷ মহামারির সময় মূল্যবান টিকা ফেলে না রেখে দ্রুত বণ্টনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে৷ ২৩শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ কোটি ৫০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনিকা টিকা সরবরাহ করা সত্ত্বেও মাত্র ২৪০,০০০ মানুষকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে৷ আপাতত প্রাইমারি স্কুল ও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষাকর্মীদের আরও দ্রুত টিকা দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল অ্যাস্ট্রাজেনিকা টিকার প্রশংসা করে সেটির প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন৷ তবে বয়সের কারণে তিনি নিজে সেই টিকা নিতে অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন৷ তবে ফ্রান্সের পর জার্মানিও সম্ভবত বেশি বয়সের মানুষের জন্যও অ্যাস্ট্রাজেনিকা নিরাপদ বলে ঘোষণা করতে চলেছে৷ আপাতত শুধু ৬৫ বছর পর্যন্ত সেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে৷

টিকার সরবরাহ ও বণ্টনের সঙ্গে সঙ্গে গোটা দেশে দ্রুত করোনা পরীক্ষার সুযোগও বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন শিথিল করার জন্য চাপের মুখে পড়ছে কর্তৃপক্ষ৷ তবে করোনা ভাইরাসের আরও ছোঁয়াচে সংস্করণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সরকার ও প্রশাসন এখনই সব বাধানিষেধ তুলে নিতে চাইছে না৷ সে ক্ষেত্রে দৈনিক সংক্রমণের হার আবার দ্রুত বেড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে৷ বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর চ্যান্সেলর ম্যার্কেল পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন৷

এসবি/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)