1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনায় 'বন্দি' বেলজিয়াম

১৮ মার্চ ২০২০

আগে সতর্ক না হওয়ায় একরকম বন্দিজীবন মেনে নিতে হবে বেলজিয়ামের জনগণকে। মৃত্যুর মিছিল এড়াতে জনগণকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3ZdwY
ছবি: Reuters/Y. Herman

করোনা ভাইরাসে চীনে ৩২৩৭, ইতালিতে ২৯৪১, ইরানে ৯৮৮, স্পেনে ৫৩৩, ফ্রান্সে ১৭৫, যুক্তরাষ্ট্রের ১০৯, ব্রিটেনে ৭১, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮৪ এবং জার্মানিতে ২৬ জন মারা গেলেও বেলজিয়ামে সেই তুলনায় মৃতের সংখ্যা এখনো অনেক কম। ১০ জন মারা গেছে সেখানে। তবে সে দেশের সরকার মনে করে, জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এই সংখ্যা দ্রুত বেড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। সেই পরিস্থিতি এড়াতে প্রধানমন্ত্রী সোফি ভিলমেস দেশবাসীকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে নিজেদের কর্মীদের যতটা সম্ভব ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে।

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘'প্রিয়জনদের রক্ষা করতে" তার সরকারকে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

মানুষ কেমন পরিস্থিতিতে, কী কী কাজে ঘরের বাইরে যেতে পারবে সে বিষয়ে ধারণা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত নাগরিকরা শুধু কাজ করার জন্য, খাবার কেনার জন্য, পোস্ট অফিস বা ব্যাংকে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হতে পারবেন। ডাক্তারের পরামর্শে হাঁটার জন্য বা মুক্ত বাতাসে খেলার জন্যও বাইরে যাওয়া যেতে পারে, তবে সঙ্গে একজন পরিবারের সদস্য বা বন্ধু থাকতে পারবে।'‘

ফার্মেসি, পশু-পাখির খাবারের দোকান, বইয়ের দোকান, সুপার মার্কেট এবং চুল কাটার সেলুন খোলা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী একথাও বলেন যে, "হেয়ার সেলুনের ভেতরে এক সময়ে একাধিক মানুষ যেতে পারবেন না।"

কেন এমন ‘বন্দিজীবন‘?

বুধবার থেকে একেবারে স্থবির হয়ে গেছে বেলজিয়ামের জনজীবন। নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বেশি মানুষের মৃত্যু এড়াতে এমন পরি্স্থিতি এড়ানোর উপায় থাকে না।

আরটিবিএফ টেলিভিশন চ্যানেলকে করোনাভইরাস ল্যাবরেটরিতে কর্মরত চিকিৎসক এমানুয়েল আন্দ্রে বলেন, স্বাস্থ্য রক্ষায় আগের পরামর্শগুলো না মানলে এমন চরম ব্যবস্থার মুখোমুখি হতেই হয়।

এসিবি/কেএম (ডিপিএ)